নিজস্ব প্রতিবেদক :
জনগণের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ফুটওভার ব্রিজগুলোর ব্যবহার বিষয়ে প্রচারণা চালাবে রাসিক। বুধবার বিকালে মহানগরীর প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের এ তথ্য জানিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিক প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
রাসিকের সদ্য নির্মিত ফুটওভারব্রিজগুলো মানুষ ব্যবহার করছে না, বিষয়টি রাসিক প্রশাসকের দৃষ্টিতে আনলে তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগরী অত্যন্ত সুন্দর একটি নগরী এবং নগরবাসীও আইন কানুন মেনে চলে। ফুটওভারব্রিজ যেহেতু নতুন হয়েছে, আমরা আশা করছি মানুষ এটা ব্যবহার করবে। এই ব্র্রিজের আরো কিছু সুবিধা প্রয়োজন ছিল যেমন- এস্কেলেটর কিন্তু তার জন্য বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। আরো বেশি ঢালু করলে ভালো হতো, তার জন্য অনেক বেশি জায়গা প্রয়োজন কিন্তু বেশি জায়গা আমাদের নেই। ফলে যতটা মানসম্পন্ন করা যায় ততটা মানসম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্ষা শেষে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের জন্য আমরা নগরবাসীর কাছে প্রচারণা শুরু করব, কোনো পথচারী যেন আড়াআড়ি না যেয়ে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে যায়। আড়াআড়িভাবে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার না হয়, পিছনে যানজটের সৃষ্টি না হয়। প্রচারে কাজ না হলে আইনগতভাবে মোবাইল কোর্ট করা হবে। আমরা ধাপে ধাপে সেদিকে যাব।
রাসিকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া বিষয়ক অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাসিক প্রশাসক বলেন, রাজশাহী মহানগরীকে বলা হয় বাতির নগরী, এই বাতি নগরীর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে আবার এই বাতি এখন বিড়ম্বনার কারণ। অনেকে বলেন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সংখ্যক বাতি স্থাপন করা হয়েছে এর ফলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। বিষয়টি আমরা পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছি। আমাদের প্রকৌশলীরা এ বিষয়ে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে ভাবছি। যে বাতিগুলো ঘন রয়েছে সেগুলো অল্টারনেটিভ ওয়েতে চালানো হবে। যেখানে বিদ্যুতের খরচ বেশি হচ্ছে সেগুলো আমরা রাখবো না। পুরো রাস্তা যাতে অন্ধকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখব। মানুষের নিরাপত্তায় চলাচলের উপযোগী যতটুকু আলো প্রয়োজন ততটুকু রেখেই এ ব্যবস্থা করা হবে। এসময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া কমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।