,নাসিরনগর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের আলী হোসেন মেয়ে শরুফা আক্তার সাথে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা বজরা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে তুষারের সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ফাতেমা আক্তার নামে ১৮ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
দীর্ঘ আড়াই বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ ও কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার কারণে স্ত্রী শরুফা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। কিছু দিন ধরে স্বামী কে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন হুমকি দামকির দিয়ে আসছে। স্ত্রী শরুফা আক্তার তার স্বামীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাই বলে স্বামী তুষার মিয়া অভিযোগ করেন। স্বামী এই টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে শিশু সন্তান কে প্রাণে হত্যা করিয়া লাশ গুম করে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে জেল কাটানোর হুমকি প্রদান করেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টায় শরুফা আক্তার তার ব্যবহৃত ইমু নাম্বার হতে তার স্বামীকে একটি ভিডিও পাঠায়, ভিডিওতে দেখা যায় শরুফা আক্তারের বাপের বাড়ির আঙ্গিনায় বরই গাছের সাথে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ও রশি দিয়ে শরীল বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন।
ভিডিও অভিযোগের বিষয় জানার জন্য শরুফা আক্তারের বাবার বাড়িতে ইব্রাহিমপুর যাওয়া হয়।
শরুফা আক্তার তার বাপের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
এই বিষয় স্বামী তুষার মিয়া ২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। বিষয় নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের।