বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় রাবির ১৫ গবেষক, যা বললেন (রাবি) উপাচার্য

শিক্ষা
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক :
বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৫ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’-এর সমন্বিত জরিপে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। বিজ্ঞান গবেষকের এই তালিকায় নাম রয়েছে তারও।

বুধবার বিকালে নিজের ফেসবুক ওয়ালে অধ্যাপক নকীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান, স্ট্যাচার অনেকটাই নির্ভর করে গবেষণার ওপর। আমাদের দেশে এই ব্যাপারে তেমন নজর নেই। গবেষকরা আমাদের দেশে অগোচরের নায়ক।

তিনি বলেন, সোমবার ঝঃধহভড়ৎফ/ঊষংবারবৎ ঞড়ঢ় ২% ঝপরবহঃরংঃং খরংঃ ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। আর সব রেটিং স্কিমের মতই এই লিস্টের সীমাবদ্ধতা আছে। তবে মোটাদাগে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় প্রোডাক্টিভ এবং হাইলি সাইটেড গবেষকদের একটা তালিকা এখান থেকে পাওয়া যায়।

সর্বশেষ তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১৫ জন বিজ্ঞানী/গবেষক এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। কোনো ধরনের ক্রম বিচার না করে তিনি ১৪ জনের নাম প্রকাশ করেন।

তারা হলেন- রাবির ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. ইয়ামিন হোসাইন, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান ও অধ্যাপক মশিউর রহমান, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল আলিম আল-বারি ও সহযোগী অধ্যাপক মহিতোষ বিশ্বাস, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম এইচ মন্ডল, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক জাকের হোসাইন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হাসান আহমাদ,পদার্থবিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক একেএম আজহারুল ইসলাম, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মির্জা হুমায়ুন কবির রুবেল। এছাড়া ওই তালিকায় মোহাম্মাদ আব্দুল হাদি, মাহফুজুর রহমান ও খন্দকার মনোয়ার হোসেনের নাম রয়েছে।

স্ট্যাটাসে রাবি উপাচার্য ১৪ জনের নাম উল্লেখ করলেও নিজের নামটি লেখেননি। শুধু লিখেছেন, কি করে, কি করে, যেন বিগত বছরগুলোর মতো ১৫ জনের তালিকায় আমার নামটাও চলে এসেছে।

ওই পোস্টে তালিকায় স্থান পাওয়া সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে অধ্যাপক নকীব বলেন, সামনের দিনগুলোতে কাজের মান ও পরিমাণ-দুটোই আরও সমৃদ্ধ হবে। আরও অনেকেই গবেষণায় আগ্রহী হবেন।

বিজ্ঞান গবেষকের এই তালিকায় স্থান পাওয়া রাবির ফিসারিজ বিভাগের প্রফেসর ইয়ামিন হক যুগান্তরকে বলেন, ‘স্কোপাস তালিকায় অন্তর্ভুক্ত গবেষণার ওপর ভিত্তিতে গবেষকদের র্যাকিং প্রকাশ করে থাকে স্টানফোর্ড। গবেষকদের উৎসাহিত করতে ২০১৯ সাল থেকে এ র্যাকিং প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতি বছরই তাদের প্রকাশিত তালিকায় আমার নাম থাকে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *