রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী চারঘাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে গত ৩ আগষ্ট রোজ সোমবার উপজেলার গৌড়শহরপুর নতুনপাড়া এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের দুই পক্ষের বাকবিতন্ডায় এ সংঘর্ষের রুপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।তবে গুরুতর আহত একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রতিবেশী হাসান (২৮) রুমার নিকট হতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয় এবং নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করে গ্রহিতা হাসান কালক্ষেপন ও অশালীন ব্যবহার শুরু করাই একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় মেডিকেল চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সাতজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দাযের করেন হাসান।মামলার এজহারে উল্লেখ করেন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘিরে ধরে অভিযুক্তরা । এজাহারে আরো উল্লেখ করেন রুনার হাতের লোহার শাবল ছিলেন, তার ভাই রাহিম হত্যার উদ্দেশ্যে মুখের মধ্যে শাবল ঢুকে দেওয়ার চেষ্টা করে তাতে মুখের ভিতরে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। যাতে মুখে স্থায়ী ফ্র্যাকচার হয়ে যায় এবং ৪০/৫০ টি সেলাই লাগে। আরও আল আমিন (২১) এবং নান্নু (৪৫) হাত লোহার জি, আই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করেন।
এ বিষয়ে জানতে হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে বলেন রহিমের বোন রুমা কাছে থেকে আমি ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দুই মাসের জন্য ধার হিসাবে নি।সময়ে মধ্যে টাকা পরিশোধ করিতে না পারায় অভিযুক্তরা আমার সাথে এমন আচরণ করে।
সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় জানা যায় বাদী যে সাতজনের নামে আদালতে মামলা করেছে তার মধ্যে প্রায় আসামি ঘটনা স্থলে উপস্থিতি ছিলে না। উপরোক্ত বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন”বাদি যাদের আসামি করেছে তাদের অনেকেই ঘটনাস্থলে ছিলোনা,আটক হয়ে হাজতে থাকা আসামি আলামিন খুব ভালো ছেলে,সে ঘটনার দিন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের কাজে থানা সদর চারঘাটে ছিলো,তাকে আসামি করা ও নিরপরাধ ব্যাক্তির হাজতে থাকায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা ও অবিলম্বে আলামিনের মুক্তি ও মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা।