চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরলেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর

ঢাকা
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

দৈনিক আমাদের জন্মভূমি ডেস্ক:
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চলমান সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। আজ শনিবার সকালে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলার প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা যখন বাড়ি থেকে বের হই তখন রাজপথে আন্দোলনের নামে খুনিরা আমার ও আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে জুয়েল মোল্লাকে তাঁরা হত্যা করেছে, আমাকে হত্যার উদ্দেশে একটি বাড়িতে আড়াই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। তারা ভেবেছিল আমি মারা গেছি, সর্বশেষ তারা বিভিন্ন হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমি সেখান থেকে উদ্ধার হই এবং চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাই।’

সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে । আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান হোক। আমাদের সন্তানরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাক। আর কারো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি অন্য কেউ দেশ প্রেমিক হতে পারে না।’

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে দুই সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে শনিবার সকাল ৮ টায় বিমানযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর আগমন উপলক্ষে ভোর থেকে দলে দলে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হয় বিমানবন্দর এলাকায়। তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত তাঁর সহযোগী জুয়েল মোল্লার কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন।

গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গাজীপুর সিটির মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে উত্তরায় হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। তাদের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর আহত হন, মারা যান তাঁর সঙ্গে থাকা জুয়েল মোল্লা নামে এক সহযোগী। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমকে পরদিন সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *