নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্য। গতকাল বুধবার থেকে কারফিউ শিথিল করায় রাজশাহীতে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। যদিও দেশজুড়ে ব্যাপক নাশকতা ঘটলেও রাজশাহী ছিল এবার শান্ত। ফলে রাজশাহীতে কারফিউ চলাকালীনও তেমন কড়াকড়ি ছিল না। এতে সাধারণ মানুষও ছিলেন অনেকটা স্বস্তিতে। এরই মধ্যে কারফিউ শিথিল হওয়ায় গতকাল সকাল থেকে রাজশাহীর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোদমে খুলতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় কর্মব্যস্ততা। ক্রেতাদেরও ভিড় বাড়তে থাকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই কয়দিনে রাজশাহীর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় অন্তত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সবজি চাষিদের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই কয়দিনে পাইকার না থাকায় সবজির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। এর বাইরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী কলেজ, মহিলা কলেজের মতো বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজশাহীর ব্যবসাতে পড়ে ভাটা। রাজশাহীর ব্যবসায় ক্রেতাদের একটি বড় অংশ হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কিন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং রাজশাহী ছেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায় পড়ে ভাটা।
রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী ইমরান আলী বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে দোকান বন্ধ থাকায় আমারই অন্তত ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। রাজশাহীর সব ব্যবসায়ীরই ক্ষতি হয়েছে। তবে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীরা স্বস্তি ফিরে পেয়েছি। আমরা চাই দেশ শান্তিতে থাকুক। আমরা ভালোভাবে ব্যবসা করি। সাধারণ মানুষও শান্তিতে থাকুক।’
রাজশাহীল ফুটপাত ব্যবসায়ী আকছেদ আলী বলেন, ‘আমার চায়ের দোকানও বন্ধ রাখতে হয়েছে কারফিউয়ের কারণে। আমরা দিন আনি দিন খাই। একদিন দোকান বন্ধ থাকলে পেট চলে না। এই কয়দিন অনেকটা কষ্ট হয়েছে সংসার চালাতে। হাজার খানেক টাকা দোকানে বাকিও পড়েছে।’
রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘আমাদের রাজশাহী ছিল শান্ত। ফলে এখানে কারফিউ তেমন কড়াকড়ি না থাকলেও ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষানগরী রাজশাহীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে বেশি। এর বাইরে সবজি চাষিদেরও ক্ষতি হয়েছে। পাইকার না থাকায় সবজির নেমে এসেছে অর্ধেক দামে