সমঝোতার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর, আহত ৫

মিঠুন পাল,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের দফায় দফায় মারামারি। সমঝোতার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অতর্কিত হামলায় এক পক্ষের আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ১৯ জুন বিকেলে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নীল গাজী বাড়িতে। আহতরা হলেন , আল আমিন হাওলাদার (৬০), সোহেল হাওলাদার (৩৫), সুমন (২৭), বেল্লাল (২০) ও শাহাদাৎ (১৮)। তারা সকলে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন।

স্থানীয়দের ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১৮ জুন পাড় ডাকুয়া স্কুল মাঠে দুই পক্ষের মধ্যে ক্রিকেট খেলা হয়। খেলায় জয় পরাজয় নিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নীল গাজী বাড়ির সাইফুল সহ কিছু যুবকের সাথে ১নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির বাপ্পির সাথে গন্ডগোল হয়। সেখানে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। পরের দিন বুধবার সকালে দুই বাড়ির মধ্যেবর্তি জায়গায় বাপ্পি ও তার চাচাতো ভাইদের সাথে দ্বিতীয় দফায় সাইফুলদের সাথে মারামারি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় মুরব্বি মাহাজিপ খা এর হস্তক্ষেপে হালেম গাজী ও সোহেল হাওলাদারের সমঝোতায় সেদিন বিকেলে নীল গাজী বাড়িতে উভয়ের মধ্যে সালিশি হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিকেলে নীল গাজী বাড়িতে সোহেল, বাপ্পি সহ অন্যান্যরা গেলে তাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত হামলা চালায় হালেম, সাইফুল, কাশেম, জহির, রোমান ও তাদের সঙ্গীরা। এ হামলায় গুরুতর আহত হয় হাওলাদার বাড়ির লোকজন।

এ বিষয়ে আহত সোহেল বলেন, আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। স্থানীয় দুই মেম্বারের সমোঝোতার আশ্বাসে আমরা অপেক্ষা করছি। সুষ্ঠু বিচার না পেলে আইনের আশ্রয় নিবো।

অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফারুক ও মনির নামে দুইজন ব্যাক্তি মুঠোফোনে জানান বিষয়টি সমোঝোতা করা হবে।

স্থানীয় ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জহির সরদার ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিঠু তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে সালিসির মাধ্যমে সমোঝোতা করা হবে।

ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে ঘটনাটি জেনে সমোঝোতা করার চেষ্টা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *