বেড়েছে চালের দাম

বেড়েছে চালের দাম

পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। এজন্য ধানের বাড়তি দরের অজুহাত দিচ্ছেন মিলাররা। তারা বলছেন, হঠাৎ করেই সরবরাহ কমে গেছে বাজারে। অন্যদিকে, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দুষছেন আড়তদার-মিলারদের।

উচ্চমূল্যের বাজারে ত্রাহি দশা ক্রেতা সাধারণের। এরই মাঝে কোনো কারণ ছাড়াই বেড়েছে চালের দাম। দেশের সবচেয়ে বড় বাজার কুষ্টিয়ার খাজানগরে সব ধরণের চাল কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা।

মিলারদের অজুহাত ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে চালের দর। মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দুষছেন মিলার ও আড়তদাররা।

এক মিলার বলেন, এখন চাল কেনাবেচা শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে চালের মূল্য ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। এটা ধানের দর অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।এক আড়তদার বলেন, যারা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক, তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আড়ৎ খুলেছে। সেগুলোতে চাল ও ধান মজুত করা শুরু করেছে তারা। ফলে উভয়েরই দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

বাড়তি দামের পেছনে মিলার আর বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। এক ব্যবসায়ী বলেন, মিলেই চালের দর বাড়তি। ওই দামেই আমাদের কেনা লাগছে। সেই অনুযায়ী বিক্রি করতে হচ্ছে। এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে চালের মূল্য কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। আর বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে তো আমরা চলতে পারবো না।

একই চিত্র চালের আন্যতম বড় বাজার বগুড়াতেও। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের ব্যাপক মজুত থাকার পরও মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে দাম। যার প্রভাব পড়েছে পুরো দেশে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, মহাজনরা বেশি দরে চাল বিক্রি করছে। ফলে সেই অনুযায়ী বেচতে হচ্ছে। তাতে আমাদের সামান্য লাভ থাকছে। আমরা এখন প্রতি কেজি বিক্রি করছি ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা। আরেক ব্যবসায়ী বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে তুলনামূলক সস্তায় ধান কিনছেন মিলাররা। পরে সেটা চূর্ণ করে আমাদের দিচ্ছে। ফলে দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখি না।

দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে আরও তৎপর হওয়ার দাবি ক্রেতা সাধারণের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *