ত্রিশালে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে আনোয়ার সাদাত

রাজনীতি
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর স্মৃতি বিজরিত ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গ্রহণ আগামীকাল বুধবার। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রার্থী এবং তাদের কর্মীরা দিনরাত ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এবার অপেক্ষার প্রহর,কে হচ্ছেন ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের আওতাভুক্ত ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের আগামী দিনের উন্নয়নের কারিগর। উপজেলার ১২৩ টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালটে ভোট গ্রহণে প্রশাসনের প্রস্তুতিও বেশ প্রশংসনীয় ।

উক্ত নির্বাচনে ত্রিশালে সাবেক তিন উপজেলা চেয়ারম্যান এর সন্তান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৫প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এই নির্বাচনে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাই দেখছে উপজেলাবাসী। চেয়ারম্যান পদে সাবেক এমপি ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার এমপির পুত্র জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার (কৈ মাছ), সাবেক এমওি ও সাবেক দুই বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল খালেক এমপির সুযোগ্য পুত্র আনোয়ার সাদাত (কাপ-পিরিচ), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন এর পুত্র মাজহারুল ইসলাম জুয়েল(দোয়াত কলম), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম শামসুদ্দীন (আনরস),উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রার্থীদের মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন গত নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। তবে এবার সাবেক ৩ উপজেলা চেয়ারম্যানের সন্তানরা প্রার্থী হওয়ায় ভোটের মুল আলোচনায় ৩সন্তানকে নিয়ে। তবে সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল খালেক এমপির সুযোগ্য সন্তান কাপ পিরিচ এর আনোয়ার সাদাত এর সাথে কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকারের সুযোগ্য পুত্র উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার এর মধ্যে মুল লড়াই হবে তা অনেকটা পরিষ্কার। কেউ কেউ আনোয়ার সাদাত, জুয়েল সরকার ও ইকবাল হোসেন তথা ত্রিমুখী লড়াইয়ের কথাও বলছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার সাদাত ভেটের লড়াইয়ে জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন। ব্যবসার মাঠ থেকে আচমকা নির্বাচনের মাঠে এসে তিনি সকল পেশাশ্রেণীর মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করেছেন। শিক্ষিত ও মার্জিত আচরণের অধিকারী আনোয়ার সাদাত মাঠে নেমেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। মানুষ যে তাকে গ্রহণ করেছে সেটি বোঝা যাচ্ছে প্রতিদিন তার প্রচারণায় হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে। অল্প সময়ে তিনি এখন সবখানে আলোচনার কেন্দ্রে।

আগামীকাল ২৯মে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী শুরু হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ দিন ত্রিশাল উপজেলায় ১২৩ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সূত্র মতে, স্থানীয় সাংসদের আস্থাভাজন নেতাকর্মীরা জুয়েল সরকার এর পক্ষে থাকায় এখন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জুয়েল সরকার এবং আনোয়ার সাদাত এর মধ্যে। তবে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন এর আগে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হওয়ায় এবার নির্বাচনে তাকে একবার সুযোগ দিতে চাচ্ছেন ভোটাররা, সে হিসাবেও ইকবাল হোসেন রয়েছেন আলোচনায়।
মূলত দলীয় প্রতীক নৌকা না থাকা এবং বিএনপি অংশ না নেয়ায় ত্রিশালে নির্বাচনী আমেজ তেমন সৃষ্টি হয়নি। তবে এখন বেশ জমে উঠেছে। ভোটারদের অভিমত, উপজেলার ধানীখোলা,বইলর,
মঠবাড়ী,আমিরাবাড়ী,কাঁঠাল,সাখুয়া,হরিরামপুর এই সাতটি ইউনিয়নের ভোট যে প্রার্থী বেশি টানতে পারবেন তিনিই বিজয়ী হবেন। কারণ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও জুয়েল সরকারের বাড়ী রামপুর ইউনিয়নে,ইকবাল হোসেন এর বাড়ী মোক্ষপুর ইউনিয়নে,মাজহারুল ইসলাম ত্রিশাল ইউনিয়নের সন্তান ও বালিপাড়ায় আনোয়ার সাদাত এর জন্মস্থান এলাকা।

সহকারি রিটার্নিং অফিসার জানান, ত্রিশাল পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মোট ১২৩টি কেন্দ্রে এবার ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো নতুনভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ শতভাগ সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *