পাষণ্ড স্বামী, শাশুড়ি ও তিন ননোতের নির্যাতনের শিকার গৃহ বধু শামীমা

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মোঃ মসুদ নরসিংদী ,

নরসিংদীর দক্ষিণ শীল মন্দির বাসিন্দা মোঃ আরিফ মিয়া,ও তার মা এবং তিন বোনের হাতে গৃহবধূ শামিমা নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে এ অভিযোগ উঠেছে । ১৭/৬/২০২২ইংরেজি তারিখ , দক্ষিণ শীল মন্দির বাসিন্দা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ মিয়া তার একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ আরিফ মিয়ার সাথে শামিমার বিবাহে আবদ্ধ হয়। গৃহবধূ শামীমার বাড়ি আড়াইহাজার সাং নোয়াদ্দা, সাতগ্রাম মোঃ আমান উল্লাহ সাহেবের মেয়ে।
মোসাম্মৎ শামীমা নববধূ হয়ে যেদিন মোহাম্মদ আরিফের সংসারে আসেন সেদিন থেকেই শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন, নির্যাতনের কথা শামিমার বাড়িতে কখনোই বলত না।ফেরত নাইওর আসার পরে, শামিমার সব অলংকার খুলে নিয়ে যায় তার শাশুড়ি এবং তিন নোনত মিলে । যতই দিন যায় ততই নির্যাতনের দ্বারা বেড়েই চলত এভাবেই অত্যাচার নির্যাতন সহ করে আরিফের সংসারে থাকে। শামিমার গর্বে যখন সন্তান আসে তখন আরো নির্যাতন বেশি করত ।সন্তান নষ্ট করার জন্য,বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতো এবং শাশুড়ি ননদ বলতো ছেলে সন্তান না আসলে তোকে ঘর ছাড়া করিব । এ সংসারে আর থাকা যাবে না । এভাবে অনেক শাসায়িত।
এবং মারধর করিত। কিছুদিন পর একদিন রাতের বেলা তাকে অনেক অত্যাচার করে, সকাল বেলা আবার তাকে মার দর করে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়, সে ওইখানে অচেতন হয়ে পড়ে থাকে।অনেকক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরে আসে এবং জীবন বাঁচাবার তাগিদে তার বাড়িতে ফোন করে, বাড়ি থেকে লোক এসে শামীমাকে নিয়ে যায়, তার বাবার বাড়ি । এরপর থেকে আর কোন খোঁজখবর নিতো না বলে জানা যায়। এবং সন্তান যখন পৃথিবীতে আসে তারপরেও কোন খোঁজখবর নেয়নি এই পাষণ্ড স্বামী ।কেউ শোনেনা মা, ও মেয়ের বুক ভাঙা কান্না। চোর শোনৈ না ধর্মের কাহিনী। তেমনি এই ঘটনা।,
অবশেষে আরিফ তার স্ত্রীকে তালাক দেয় । পিয়ন সাহেব তালাকের নোটিশ শামীমার হাতে পৌঁছে দেয়। তালাকের নোটিশ পেয়ে, শামীমা, নিরুপায় হয়ে, আইনের আশ্রয় নেয়। এবং একটি মামলা দায়ের করেন । শামীমা চায় স্বামীর সংসার, একমাত্র মেয়ে নুসাইবা আক্তার (নূর) চায় তার জন্মদাতা পিতাকে,।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *