মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি, সম্পাদক মঞ্জরুল হক –

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

1সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক। এছাড়া ৫ পদে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী ও ৭ পদে আ.লীগ সমর্থীত প্রার্থিরা বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে নানা নাটকীয়তার পর শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যে ভবনে ভোট গণনা করা হয়েছে, সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

এর আগে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে ওই ঘটনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার ২ নম্বর আসামি।

এর আগে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে ৪ জনকে এবং (৯ মার্চ) দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার উসমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিষ্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, ডা. কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামিরা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিচ তলার শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে হঠাৎ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী (সম্পাদক পদপ্রার্থী), আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবী এবং অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন সু-কৌশলে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলে দিলে অস্ত্র হাতে জোরপূর্বক বেআইনিভাবে অনাধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় আমাকেসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এছাড়াও হত্যার চেষ্টাসহ নানাভাবে আঘাতের কথা এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ মামলার ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী নামের এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫টায় শেষ হয়। দুইদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *