ইকোনোমিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রতি আউন্সের দাম ২০০০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। গত ২ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে সুদের হার উচ্চ রাখতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান বেড়েছে। তাতে বুলিয়ন বাজার আরও ঔজ্জ্বলতা হারিয়েছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম কমেছেে এক দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ১৯৯০ ডলার ৭৯ সেন্টে। গত ১৩ ডিসেম্বরের পর যা সবচেয়ে কম।
আগের দিন (সোমবার) বেঞ্চমার্কটির মূল্য ছিল ২০২০ ডলার। সেই হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে দরপতন ঘটেছে ৩০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণেরও দাম হ্রাস পেয়েছে এক দশমিক ৪ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ২০০৩ ডলার ৬০ সেন্ট। আগের দিন যা ছিল ২০৩৩ ডলার। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে বেঞ্চমার্কটি দর হারিয়েছে ৩০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টাকা।
এদিন মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে দেখা গেছে, বিদায়ী জানুয়ারিতে দেশটিতে ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে নতুন বাড়ির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার খরচ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক স্বাধীন ধাতু ব্যবসায়ী তাই ওয়াঙ বলেন, এ ধরনের তথ্য দেখতে চায়নি বাজার। ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী মে মাসে সুদের হার কমাতে পারে ফেড। কিন্তু মূল্যস্ফীতির নতুন তথ্যে সেই সম্ভাবনা ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।