শহিদুল্লা মনসুর,জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছুদের সহায়তার কাজ করছে সামাজিক সংগঠন ‘ইচ্ছা’।
গত বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) হতে গণিত ও পরিসংখ্যান ভবনের সামনে বুথ স্থাপন করে তথ্য সহায়তা, বিনামূল্যে মোবাইল, ব্যাগ, মানিব্যাগ সহ যাবতীয় মূল্যবান সামগ্রী গচ্ছিত রাখছে সংগঠনটি। ৫ দিন ব্যাপী চলবে তাদের ব্যাতিক্রম এ কার্যক্রম ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দূর থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা তাদের বই, খাতা, সিট, মানিব্যাগ, ঘড়ি, ব্যাগ টোকেন সিস্টেমের মাধ্যমে বিনামূল্যে বুথে জমা রাখছে। পরীক্ষা শেষে টোকেন ফেরত দিয়ে আবার তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র নিজেরা বুঝে নিচ্ছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে পরীক্ষা দিতে আসে এক শিক্ষার্থী রানা বলেন, আমার বাসা থেকে সঙ্গে কেউ আসেনি। কিন্তু পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র ছাড়া কোন কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেয় না। আমি দ্বিধায় ছিলাম কোথায় আমি আমার জিনিসপত্র নিশ্চিন্তে রাখতে পারি। ইচ্ছার বুথে দেখলাম তারা বিনা মূল্যে ভর্তিচ্ছুদের জিনিস রাখছে। এটি অনেক প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।
ইচ্ছার সভাপতি ইমন মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এরকম সাহায্য করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তারা নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিয়ে এসে যখন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তখন মনে হয় এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না। তাদের মুখের হাসি আমাদের সারা দিনের পরিশ্রমকে সফল করে তোলে।
ইচ্ছা সামাজিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল, ব্যাগ নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। যেসব শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একা পরীক্ষা দিতে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠন ইচ্ছা (Inspire Care & Cultivate Human Aid-ICCHA) বিগত পাঁচ বছরের ন্যায় এবছরও শিক্ষার্থীদের মোবাইল, ব্যাগ বিনামূল্যে জমা রেখেছে। প্রতিদিন প্রায় ৩ শতাধিক ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে আমরা সহযোগিতা করছি।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘ইচ্ছা’ জন্ম থেকেই সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। এটা খুবই গঠনমূলক। ইচ্ছা সংগঠনের কর্মীরা। ইচ্ছা সংগঠনের কর্মীরা সামাজ সেবামূলক কাজগুলোকে নিজেদের দ্বায়িত্ব হিসেবে নিয়েই কাজ করে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ইচ্ছা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই ইচ্ছা নানা রকম সামাজিক কার্যক্রম পালন করছে। তারা সারাবছর বন্যার্তদের সাহায্য করণ, শীত বস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও তারা গত তিন বছরে ছয়জন দারিদ্র্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ ভর্তি ব্যয় বহন করেছেন।