এম, এ কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি :: ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪ দলীয় জোট মনোনীত বিএনপি’র প্রার্থী আলহাজ শামীম বিন সাঈদীর ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে জেলা বিএনপি সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিম নির্বাচন করতে ঢাকা থেকে তার পিরোজপুরের বাড়িতে গেলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝির নের্তৃত্বে ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যায় ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়ির চান মিয়া মাঝি বাড়ির সামনে ব্রীজের ঢালে মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিমের গাড়ি থামিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে এবং গাড়ির মধ্যে থাকা ধানের শীষ প্রতীকের পোষ্টার ও লিফলেট ছিনিয়ে নিয়ে পাশেই খালে ফেলে দেয় এবং তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও ছোড়ে।
পরের দিন আবার ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝির নের্তৃত্বে ২৯ ডিসেম্বর২০১৮ বিকেল পাঁচ ঘটিকায় মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিম এর বাড়িতে ৫০-৬০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, হকিস্টিক ও দেশীয় লাঠি সোটা সহ হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিমের বাড়ির সামনে বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে ২০-২৫ রাউন্ড গুলি ও ৮-১০টি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে সন্ত্রাসীরা ঘরের মুল গেইট দা দিয়ে কুপিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায়।
ও ঘটনায় মোঃ চান মিয়া মাঝি, মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার, মুরাদ হোসেন মাঝি, হারুনার রশিদ বাদশা, মোঃ মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার রেশাদ মাঝি, লোকমান হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক সহ অজ্ঞাত ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী ছিলো।
এ সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ঘরের আসবাবপত্র ব্যপক ভাঙচুর করে এবং তার স্ত্রী ও মায়ের স্বর্ণালংকার, মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। এই সকল সন্ত্রাসীরা মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিম এর মা ও স্ত্রীর কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে না দিলে মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং এই সকল ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিম এর ৮ বছরের শিশু সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকী দেয়।
পর এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে ২০২১ সালে তার নিজের গ্রামের বাড়ি ছেড়ে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পরে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিম।
মামলা নং ০৪/৬২ তারিখ-০৭-০৪-২০২৫ইং ধারা-৩৪১/৩০৭/৪২৭/৩৮০/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড ।
মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়।
