রাজশাহীতে প্রেমের টানে স্বামীর ঘর ছাড়লেন গৃহবধূ, উধাও প্রেমিক

রাজশাহী
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

দুর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধি
রাজশাহীতে প্রেমের টানে স্বামীর ঘর ছেড়ে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহবধূ। প্রেমিকের দেওয়া বিয়ের আশ্বাস পেয়ে ঘর ছাড়েন ওই গৃহবধূ। তবে প্রেমিকের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে উধাও প্রেমিক নাজমুল হোসেন।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের মধ্যপাড়ায়।

প্রেমিক নাজমুল হোসেন ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে ঘরছাড়া গৃহবধূর বাড়ি সিরাজগঞ্জ। ১৪ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে ওই গৃহবধূর।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিবার সকালে বিয়ের আশ্বাস পেয়ে নাজমুলের বাড়িতে আসেন গৃহবধূ।

তার পর থেকেই নাজমুল লাপাত্তা। বাড়ির লোকজনও নাজমুলের খোঁজ জানেন না বলে জানান। নাজমুল নিজেও বিবাহিত। তিনিও এক সন্তানের জনক।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, মোবাইলে রং নম্বরের সূত্র ধরে নাজমুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই গৃহবধূকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাজশাহীতে এনে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান নাজমুল। বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নিয়েছেন নাজমুল। কথা ছিল এবারের ঈদুল ফিতরের পরে নাজমুল তাকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসবেন।

গত ৩ এপ্রিল ভুক্তভোগীকে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে নিয়ে আসেন নাজমুল।

এরপর বিভিন্ন জায়গায় রাত যাপন করেন তারা। শনিবার (৪ এপ্রিল) পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে কাজি অফিসে বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু নাজমুলের আর খোঁজ মেলেনি। বাধ্য হয়ে রবিবার সকালে নাজমুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন গৃহবধূ।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ আরো অভিযোগ করেন, নাজমুলের বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। সুষ্ঠু প্রতিকার পেতে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

নাজমুলের স্ত্রী বলেন, ‘ওই মেয়েকে আমরা চিনি না। সে সকালে এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং নাজমুলের খোঁজ চায়। দরজা খোলার সাথে সাথেই সে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকতে চাইলে আমরা বাধা দিই। এ সময় তার সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তবে তাকে মারধর বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি।’

ঝালুকা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজেনা বিবি বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরিষদে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের কোনো খবর পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *