বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন’ জয়পুরহাট শাখার চার দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল) জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশনে’র ব্যানারে জয়পুরহাটে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতির নির্ধারিত সময় পার হলেও ম্যাটস কোর্স কারিকুলামের চারদফা দাবী বাস্তবায়ন না করায় এবং গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী কর্তৃক ম্যাটস কোর্স সম্পর্কে মিথ্যাচার ও কটূক্তিসহ বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালত অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশনে’র জয়পুরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃজন করতে হবে। প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের নাম পরিবর্তন করে, অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করে ইন্টার্নশিপে লগবুক প্রণয়ন করতে হবে। বিএমএন্ডডিস স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অধিকার প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তন করে “মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ” নামকরণ করাসহ আমাদের চার দফা দাবি মানতে হবে। ‘
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম, উপদেষ্টা মো. আব্দুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান মুন্না, দপ্তর সম্পাদক রাসেল মাহমুদ প্রমুখ।

মো. মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে ১৬ টি সরকারি ম্যাটস্ ও প্রায় ২০০টি বেসরকারি ম্যাটস্ এই কোর্সটি পরিচালনা করে আসছে। কর্মক্ষেত্রে ডিএমএফ ডিগ্রিধারীগণ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় “উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার” পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান ২০২২ এবং বিএমএন্ডডিসি এর সর্বশেষ তথ্যমতে বাংলাদেশে বর্তমানে ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এবং বিএমডিসি নিবন্ধিত ডিএমএফ এর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৫ হাজার ৫০০ জন ডিপ্লোমা চিকিৎসক (ডিএমএফ) ‘উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার’ পদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্ৰ,ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন। বর্তমানে ডিপ্লোমা মেডিকেল তথা ডিএমএফ কোর্স সম্পূর্ণ কারি প্রায় পঞ্চাশ হাজার দক্ষ জনবল কর্মসংস্থানহীন বেকার হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরের ম্যাটস্ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভাবে জুলুম ও বৈষম্যের স্বীকার। দীর্ঘকাল ধরেই আন্দোলন সংগ্রাম করার পরেও আমাদের বৈষম্য নিরসনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

শূন্য পদ থাকার পরেও গত একযুগের বেশি সময় ধরেই নিয়োগ বন্ধ রয়েছে, তার মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রায় ২ হাজার পদ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে প্রায় ১ হাজার শূন্য পদের ছাড়পত্র প্রদান করলেও নিয়োগ নিয়ে তালবাহানা করে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্য দিকে ম্যাটস্ থেকে পাশকৃত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দ্রুত আমাদের চার দফা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *