মোহাম্মদ মাসুদ খান নরসিংদী প্রতিনিধি
জীবিত কে মৃত দেখিয়ে খালাস
নরসিংদীর মনোহরদীতে ২০০৬ সালে ১৬ই মার্চ কমলা বানু নামে এক নারী খুন হন । এ ঘটনায় মনোহরদী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার ভাই আব্দুল বাতেন ।
সেই মামলায় মনোহরদী উপজেলার খালিয়া বাইন
গ্রামের রিয়াকত আলীর ছেলে শ্যামল ও কমলা বানুর ছেলে শরীফ মেয়েকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। মামলা টি বিচারের জন্য নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ও দাওরা জজ দ্বিতীয় আদালতে শুনেনি হয়। আদালত উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। শ্যামল ও শরীফ কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পরে শ্যামল আদালত থেকে জামিন নিয়ে হাজির হয়নি আর ।
এই হত্যা মামলার আসামিকে মৃত্যু দেখিয়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে গত ২০ শে মার্চ এ মামলার রায় দেন । নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত । অথচ অন্য একটি মামলায় এই আসামী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় শুরু হয়েছে জনসাধারণের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
এ দিকে ২০১৫সালে ৮ নভেম্বর নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে শ্যামল কে মৃত দেখানো হয় ।
পরে বছরের ২০ মার্চ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত । রাযে বলা হয়, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় প্রদান আসামি শরীফ মিয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হল । এবং আসামি শ্যামল মৃত্যুবরণ করায় তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হল ।
এদিকে ২৬ শে অক্টোবর অন্য একটি মামলায় শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠান মনোহরদী থানা পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ।
শ্যামলের মা দেলোয়ারা বেগম বলেন আমার ছেলেকে মৃত দেখিয়ে কেন খালাস দেওয়া হবে এটা আমার সন্তানের সাথে শত্রুতা করে করা হয়েছে । নরসিংদী জজ কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন আদালতের বিন সহকারি মামুনুর রশিদ আমাকে জানান নথিতে অন্য কাগজপত্র রয়েছে তবে মৃত্যু সনদ নেই ।
মনোহরদী থানার ওসি জুয়েল হোসেন বলেন,চলমান একটি মামলায় শ্যামলকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।
মোঃ মাসুদ খাঁন নরসিংদী প্রতিনিধি
০১৮২৮৮৭২০৭৭