বাঘায় প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ।

রাজশাহী
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি।
রাজশাহীর বাঘায় ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি ও কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও ছাত্র-ছাত্রীদের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২২সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বরে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষি ও কারিগরি কলেজের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে গত ১৪ই আগষ্ট ২০১৯ইং সালের সাবেক সভাপতি শাহদৈালা সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যপক আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে নিয়োগ গ্রহন করেন। প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। তিনি রাতের অন্ধকারে সাবেক সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম এর আড়ানীর বাসায় জামায়াত ইসলাম থেকে আওয়ামীলীগ এ যোগদান করে। এরপর থেকে আওয়ামীলীগ নেতা বনে গিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলো। তার প্রতিষ্ঠিানের কোন শিক্ষক এই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই ঐ শিক্ষকের প্রতি কারণ দর্শানো নোটিশ ও দুর্ব্যবহারসহ নানা ধরণের মানষিক অত্যাচার করতো। সে গত ৩১শে জুলাই ২০২২ইং সালে রাতের অন্ধকারে গোপনে তার আপন ভাই আঃরশিদ কে দাতাসদস্য ও তার চাচাতো ভাই আওয়মী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মুন্টুকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি গঠনের পর তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার আরও বেরে যায়। সন্ধ্যা হলেই আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আব্দুল হামিদ তার অফিস কক্ষে ভুড়িভোজের আয়োজনে ব্যস্ত থাকতেন। ছাত্র-ছাত্রী দের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ও সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মুন্টু গত ১১-০৫-২০২৪ ইং তারিখে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২ জন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট সহ ৪ জন কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদান করে। এই নিয়ে ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিলো। সেই পরিবেশ তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের দিয়ে শান্ত করিয়ে নেন।

এ বিষয়ে ইসলামী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছে তারা সবাই ছাত্র না। যে সকল ছাত্ররা পিছনের বেঞ্চে বসে ও পরিক্ষার ফি সময়মত দেয় না তারাই এই সময় প্রতিবাদ করেছেন। আমার প্রতিষ্ঠানে ৬৭ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন বেতন পান না। এই কারণে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ২৩ জন শিক্ষকদের বেতন দেই, এই বিষয়টি মাসিক মিটিং এ আমাদের সভাপতি ইউএনও কে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসের কাজে রাজশাহী ডিসি স্যারের অফিসে মিটিং এ থাকায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আজকের ইসলামী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ এর বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের ভিডিও ও ছবি পেয়েছি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *