নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক নাটোরের বাগাতিপাড়ার জয় মাহমুদ গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন। বুধবার সকালে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরায় পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।
তাকে এক পলক দেখতে স্বজন ও প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে ভিড় করেন। জয় মাহমুদ বাগাতিপাড়ার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান ও আরিফা বেগম দম্পতির ছেলে। বাড়ি ফিরে জয় মাহমুদ ভয়ংকর দিনগুলোর বর্ণণা দিয়ে সাংবদিকদের জানান, জিম্মিদশা থেকে বেঁচে ফিরবো ভাবতে পারিনি। দস্যূদের আক্রমনের পর তাদের গোলাগুলিতে আমরা ভীতসম্ভ্রস্ত হয়ে পড়ি।
জিম্মি হয়ে বন্দুকের নলের নিচে আমাদের থাকতে হয়েছে। তবে আস্তে আস্তে তারা স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। প্রতিটা দিন কেটেছে উৎকন্ঠায়। ভাবছিলাম এরপর কি হবে। সেখানে আমরা রোজা রেখেছি। ঈদের নামাজ পড়তে পেরেছি। তবে ঈদের আনন্দ ছিলনা। অবশেষে মঙ্গলবার সাইন আপ করেছি। ৩৩ দিন পর বাড়ি ফিরতে পেরে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
খুশিতে অশ্রুসিক্ত মা আরিফা বেগম বলেন, বুকের মানিককে ফিরে পেয়ে ঈদের আনন্দ অনুভব করছি। শুকরিয়া জানাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি। জয়ের বৃদ্ধ দাদি রওশেনারা বেওয়া জানান, আটকের খবরে কত যে কেঁদেছেন। অবশেষে নাতি বাড়ি ফিরে আসায় মনে শান্তি পেয়েছেন। জয়ের বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, আমার ছেলে আজ সকালে বাড়ি ফিরেছে। উৎকন্ঠার অবসান হয়েছে। তিনি সরকার, জাহাজ কর্তৃপক্ষ, গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশবাসির সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগর থেকে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং জয় মাহমুদসহ ২৩ জন নাবিক।