নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্দোলনের পরে অনেক নব্য বিএনপিকে দেখা যাচ্ছেখুনি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও ঈদ সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারেনি। দাড়ি টুপিওয়ালা লোক দেখলেই জঙ্গি বলে তাদের উপরে অত্যাচার করা হতো। এমনকি বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মারা গেলে জানাযা করতে বাধা প্রধান করতো। শনিবার বিকেলে শাহ মখ্দুম ও চন্দিমা থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার হাসিনা মুক্ত নতুন বাংলাদেশে ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু তিনি এসব কথা বলেন।
এবারের ঈদ সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে উদযাপন ও ঈদ পুণর্মিলণী করায় সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বিগত সতের বছরে বিএনপি প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম সঠিক ও সুন্দরভাবে করেছে। এই আন্দোলন করতে যেয়ে দুই লাখ নেতাকর্মী কারাবরণ করেছিলেন। ১৫০ জন নেতা গুম হয়েছেন। আর ২০০ নেতাকর্মী সে সময়ে শহীদ হয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নামে একটি নুতন দেশ গঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের মানুষ পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ ছিলো। ঐ সময়ে সিপাহী জনতার আন্দোলন করে জিয়াউর রহমানকে কারামুক্ত করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরেন।
তিনি আরো বলেন, এরপর স্বৈারাচার এরশাদ সরকারকে হটিয়ে তারই সুযোগ্য সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়া রাস্তায় নেমে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেন। সেইসাথে দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর আবারও শেখ মুজিবুর রহমানের সব থেকে হায়নারুপি কন্যা, পৃথিবীর ইতিহাসে সব থেকে ঘৃন্য রাজনীতিবিদ ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের মানুষকে পরাধিনতার শিকলে আবদ্ধ করে ফেলে। তার আমলে দেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা ছিলোনা। বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠায়। তারেক জিয়াকে আমানবিক ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার চেষ্টা করে। এখন তিনি লন্ডনে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন।
এই স্বৈরাচার হাসিনার কবল থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে এবং গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার নিশ্চিৎ করতে তারেক রহমান সুদুর লন্ডন থেকে আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দীর্ঘ পনের বছর তিনি এই আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। যার ফলশ্রুতি হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ফল। এই আন্দোলনকে দমন করতে এবং নিজের ক্ষমতাকে আরো দীর্ঘস্থায়ী করতে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। এই আন্দোলনে অনেক বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নিহত ও আহত হন।
এই আন্দোলনের পরে অনেক নব্য বিএনপিকে দেখা যাচ্ছে। তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে আপদকালীন তথা অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান একজন ভাল ও সবার নিকট গ্রহনযোগ্য মানুষ। কিন্তু তাঁর উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন তাদের গতিবিধি ভাল নয়। দেশ নিয়ে আবারও যদি কেউ ষড়যন্ত্র শুরু করে তাহলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সৈনিকেরা ছেড়ে কথা বলবে না। আবারও তারা দেশ এবং দেশের জনগণকে রক্ষা করতে মাঠে নামবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
রাজশাহী মহানগরীর শালাবাগান বাজার সংলগ্ন রাস্তায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেস অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ এর সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন এর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি শফিউল আলম টুলু ও শাহীন ইকবাল, চন্দ্রিমা থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ আলী, বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম রেজা, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, কৃষি ব্যাংক শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, কৃষি ব্যাংক সিবিএ এর সভাপতি জয়নাল আবেদীন।সাবেক যুগ্ন আহবায়ক চন্দ্রিমা থানা যুবদল রাজশাহী মহানগর সদস্য সচিব আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ রাজশাহী মহানগর ইঞ্জিনিয়ার আরিফুজ্জামান সোহেল।
এছাড়াও ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আকরাম আলী, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দিন, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’রসভাপতি আব্দুল খালেক, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম কালু, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাইনুসুর রহমান তোতা, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিলন, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, চন্দ্রিমা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন, শাহ্ মখ্দুম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম পরাগ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান ও ১৫নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, শাহ্ মখ্দুম থানা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদি হাসান ডলার ও পলিটেকনিক্যাল ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম খান সহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
