১৬ লাখ টাকায় সেই কলেজছাত্রীর সঙ্গে আপস করলেন এএসআই

ঢাকা
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

জন্মভূমি নিউজ ডেক্স
১৬ লাখ টাকায় সেই কলেজছাত্রীর সঙ্গে আপস করলেন এএসআই
প্রতারণা করে বিয়ের অভিযোগ করা কলেজছাত্রী রিয়া আক্তারের সঙ্গে আপস মীমাংসা করেছেন পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম। রিয়াকে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে তালাক দিয়েছেন তিনি।

গত ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল আদালতে অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন তালাকের মাধ্যমে এ আপস করিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে একজন অ্যাডভোকেট ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জানাজানি হয়।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর ‘প্রতারণা করে কলেজছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে ও করটিয়া সাদত কলেজের ছাত্রী। এএসআই জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাগরপুর থানা থেকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বদলি হয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় কর্মরত রয়েছেন।

কলেজছাত্রী রিয়া আক্তার বলেন, যেহেতু সে (জাহাঙ্গীর আলম) আমার সঙ্গে সংসার করবে না, তাই আর ঝামেলা বাড়াইনি। কাবিননামার ১৫ লাখ এবং তিন মাসের খরচ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তালাকের মাধ্যমে আপস হয়েছে। আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমেই তালাক দিয়ে আপস মীমাংসা করা হয়।

মেয়েটা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল, এমন ঘটনা ঘটাবে বুঝতে পারিনি
চাঁদাবাজির সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
ড. ইউনূসের সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে পুলিশ পরিদর্শকের কাছে চাঁদা দাবি
এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষ থেকে আসা এরশাদ বলেন, মেয়েটা আগে টাকা হাতে নেওয়ার পর তালাকনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছে। টাকা ছাড়া সে সময় কিছুই বুঝেনি ওই মেয়েটা।

রিয়া আক্তারের চাচা বাদল মিয়া বলেন, নাটিয়াপাড়ার পাটখড়ি এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে রিয়ার বিয়ে হয়েছিল। কয়েক মাস পর আর সংসার করেনি। পরে ওই পুলিশের সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে হোটেলে ধরা পড়েছিল। সেখানে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই পুলিশকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। তার উদ্দেশ্যই ছিল টাকা আদায়। তার এই আচরণের কারণে আমরা বিব্রত।

রিয়ার আইনজীবী নাজিম উদ্দিন বলেন, কত টাকায় আপস হয়েছে সেটা আমাকে বলেনি। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও তার স্বজনরা আদালতে আসছিল। পরে তালাকের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *