শিবগঞ্জ উপজেলায় র
সিনিয়রী স্টাফ রিপোর্টার
ছবিঃ দৈনিক আমাদের জন্মভূমি পত্রিকায়
নিমগাছ থেকে বেয়ে পড়ছে রস। স্থানীয়য়া হাতে নিয়ে চেটে খাচ্ছেন। এতে নাকি রোগবালাই থেকে মুক্ত হচ্ছেন অনেকে। এমনকি এরইমধ্যে নাকি গ্যাস্ট্রিক-চুলকানি-ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেয়েছেন অর্ধশত মানুষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছটি ঘিরে উৎসুক জনতার জটলা লেগে আছে।
এমন এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের সাধারিটোলা গ্রামের মো. বাহাদুর ইসলামের বাড়ির গলিতে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) গিয়ে দেখা যায়, পথচারী ও গ্রামবাসী অনেকেই ছুটে আসছেন নিমগাছের গা বেয়ে পড়তে থাকা রস খেতে। অনেকেই নিম গাছের গায়ে ঝুলিয়ে রাখছেন বিভিন্ন পাত্র। বাড়িতে নিয়ে যাবেন স্বজনদের জন্য।
সাধারিটোলা গ্রামের বাসিন্দা রুপালি বেগম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাস্ট্রিক ও চুলকানির সমস্যায় ভুগছিলাম। পরে এলাকাবাসীর কাছে এই নিমগাছের সন্ধান পাই। গত চারদিন ধরে এই রস খেয়ে অনেকটা সুস্থ লাগছে। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য নিতে এসেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, সারাজীবন শুনে এসেছি নিমগাছ তেতো হয়। কিন্তু তেতোর পরিবর্তে এই নিমগাছে খেজুরের মতো মিষ্টি রস বের হচ্ছে। এটি খুবই অলৌকিক, তাই স্থানীয় বাসিন্দারা এই রস খাওয়ার জন্য ভিড় করছেন। আমি খেয়ে দেখলাম অনেক মিষ্টি।
রোগমুক্তির আশায় নিমগাছের মিষ্টি রস খেতে ছুটছে মানুষ দৈনিক আমাদের জন্মভূমি পত্রিকা
আলী হাসান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, জীবনে অনেকবার খেজুরের রস খেয়েছি। কিন্তু কখনো নিমগাছের রস খাওয়া হয়নি। আজকে সকালে নিমগাছে মিষ্টি রস বের হচ্ছে শুনে খাওয়ার জন্য এসেছি। খেয়ে দেখলাম অনেকটা খেজুরের রসের মতোই।
গাছটির মালিক বাহাদুর ইসলাম বলেন, নিমগাছের পাতা, কাঁচা ফল, বীজ, সবই তেতো। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে গাছটি থেকে যে রস বের হচ্ছে তা অত্যন্ত মিষ্টি। খেজুরের রসের মতোই স্বাদ। এজন্য গ্রামের অনেক মানুষ রোগ মুক্তির আশায় এ গাছটির রস খেতে আসেন। আমি কাউকেই ফিরিয়ে দিচ্ছি না।
মনাকষা সৈয়দা শরীফ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের প্রভাষক (রসায়ন) মোহা. শামীম উদ্দিন বলেন, নিমগাছে ছত্রাক ছড়ালে এমন রস বের হতে পারে। এটিতে কোনো ধরনের রোগমুক্তির উপায় নেই। তারপরও এলাকাবাসী সারাদিন এই গাছের রস খাওয়ার জন্য আসছেন। এটি না জেনে তারা খাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন দিন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আব্দুস সামাদ বলেন, এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। গাছের ছত্রাক ছড়িয়ে এমন রস বের হতে পারে। এটির কোনো বিশেষ গুণ বা উপকারিতা নেই। নিমগাছের রসের বৈজ্ঞানিক কোনো ওষুধী উপকার নেই। মানুষ না জেনে এই রস খাচ্ছে, এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।