নিজস্ব সংবাদদাতা
বুধবার পহেলা জানুয়ারি ২০২৫। নববর্ষের প্রথমদিন। নববর্ষ মানে নতুন বছর। মহাকালে বিলীন আরও একটি বছর বিদায় ২০২৪। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘর স্পর্শ করতেই সব দুঃখ-বেদনা ভুলে সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বরণ করে নিলো নতুন বছরকে স্বাগতম ২০২৫। সময় বহমান স্রোতের মতো।
ময়কে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই একের পর এক পঞ্জিকার পাতা উল্টে চলে যায় দিন, মাস, বছর, যুগের পর যুগ। কালের পরিক্রমায় এভাবেই দিনপঞ্জির পাতা উল্টাতে উল্টাতে দোরগোড়ায় হাজির হলো নতুন আরো একটি বছর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। শুভ ইংরেজি নববর্ষ! পৃথিবীর প্রায় সব দেশে উৎসবের মেজাজে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে থাকে।
বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ দেশে জানুয়ারির ১ তারিখকে নববর্ষ হিসেবে বরণ করে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে মানুষ। এজন্য এর আন্তর্জাতিক গুরুত্বকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। আসলে প্রতিটি উৎসবই আসে আনন্দের বারতা নিয়ে, হোক তা আমাদের দেশীয় বা জাতীয় কিংবা অন্য দেশীয় বা বিজাতীয়। আনন্দ-বেদনা, সাফল্য-ব্যর্থতা, আশা-নিরাশা, প্রাপ্তি-প্রবঞ্চনার হিসাব-নিকাশ পেছনে ফেলে নবপ্রজন্ম নতুন বছরকে স্বাগত জানায় আগামী দিনের নতুন স্বপ্নে সোনালি প্রত্যাশার পাখা মেলে। তাইতো নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায় উচ্চারিত হয়েছে ‘বন্ধু হও, শত্রু হও, যেখানে যে কেহ রও/ক্ষমা করো আজিকার মতো/পুরাতন বর্ষের সাথে/পুরাতন অপরাধ যত।’ আবার সাহসিকা জননী খ্যাত কবি সুফিয়া কামাল লিখেছেন‘অনন্ত সূর্যাস্ত-অন্তে আজিকার সূর্যাস্তের কালে/সুন্দর দক্ষিণ হস্তে পশ্চিমের দিকপ্রান্ত-ভালে/দক্ষিণা দানিয়া গেল, বিচিত্র রঙের তুলি তার/ বুঝি আজি দিনশেষে নিঃশেষে সে করিয়া উজাড়/দানের আনন্দ গেল শেষ করি মহাসমারোহে।
