বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। পহেলা বৈশাখ আজ, স্বাগত জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃআরিফুজ্জামান সোহেল

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক

বাঙালির হৃদয়ে প্রকৃতি এক অদৃশ্য সুরে বাঁধা। ষড়ঋতুর লীলাভূমিতে ঝড়-বৃষ্টির দামামা বাজিয়ে, ধুলোবালির মেঘ উড়িয়ে, বজ্রের গর্জনে কাঁপিয়ে বৈশাখ এসেছে এক নবজাগরণের প্রতীক হয়ে। বৈশাখের প্রতীক কৃষ্ণচূড়ার ডালেও লেগেছে আগুন, যেন বলছে-এসেছে উৎসব, এসেছে রঙ, এসেছে বৈশাখ।

বৈশাখে কেবল প্রকৃতিই নয়, জেগে ওঠে বাঙালির হৃদয়। বাঙালির জীবনচক্রে প্রকৃতির মেজাজি সন্তান বৈশাখ যেন অনিবার্য। তাইতো এবারের পহেলা বৈশাখও এসেছে ভিন্ন রূপে। এ বৈশাখ শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে নতুন বছর শুরু করার নয়, এ একটি নতুন সময়ের সূচনা। স্বৈরশাসকের পতনের পর তারই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নতুন বছরে বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে একটি আলোকিত ভবিষ্যতের।

পহেলা বৈশাখে কেমন পোশাক পরবেন

অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজয়ের আবহেই এসেছে এবারের পহেলা বৈশাখ। চারদিকে উৎসবের রঙ, মুখে মুখে শুভেচ্ছা, কিন্তু এর মাঝে রয়েছে এক আশার বার্তা। সে বার্তা বদলে যাওয়ার, নতুন দেশ গড়ে তোলার।

আজ দেশের সব মানুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উদ্‌যাপন করবে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২। পুরোনো সব ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে, নতুন আশায় ও সবার মঙ্গল কামনায় জমে উঠবে নববর্ষের উৎসব। নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে চারদিকে ধ্বনিত হবে- ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী নেয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘বর্ষবরণ আনন্দ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে ড্রোন শো।

এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কনসার্ট ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরোনো হিসাবনিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে রাজধানীর যেসব জায়গায় ঘুরবেন

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এ সময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে শুরু হয় বর্ষবরণ।

আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এ উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে




জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

কাজী আব্দুল হালিম রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানীমুলন মামলা প্রত্যাহারের দাবি

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (২৫ মার্চ) রাজশাহীতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজম অপু এবং সঞ্চালনা করেন দপ্তর সম্পাদক মো: সুরুজ আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ও দৈনিক উপচার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ সেলিম। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহীর সাবেক সভাপতি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ,দৈনিক উপচার পত্রিকার ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক নুরুজ্জামান রফিক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চাঁপাইনবয়াবগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আলেক উদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী মহানগর শাখার দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান সাব্বির, রাজশাহী দূর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল হোসেন,গোদাগাড়ী উপজেলা কমিটির সভাপতি সারোয়ার সবুজ,তানোর উপজেলা দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রনি,সদস্য মিঠুন সরকার।

দোয়া অনুষ্ঠানে রাজশাহীসহ সারাদেশের প্রয়াত সাংবাদিকদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং অসুস্থ সাংবাদিকদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন দৈনিক উপচার পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রহমান মানিক।
এর আগে, অতিথিরা প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন।

প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে তারা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রয়াত সাংবাদিকদের অবদান আমাদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিশেষ অতিথি জাহিদ হাসান সাব্বির বলেন, “সাংবাদিকদের ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রয়াত সহকর্মীদের স্মরণ করে তাদের সততা ও পেশাদারিত্ব থেকে শিক্ষা নিতে হবে।”

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সাংবাদিকতার পথ কখনো সহজ নয়। সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তবে ন্যায় ও আদর্শের পথে থাকাই একজন প্রকৃত সাংবাদিকের গর্বের বিষয়।”আমাদের ‘নতুন বাংলাদেশেও প্রতিদিনই সাংবাদিকরা হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হচ্ছেন সাংবাদিকেরা। আমাদের জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো: নুরে ইসলাম মিলন,দপ্তর সম্পাদক সুরুজ আলীর নামে দেয়া হয়েছে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। আমরা অবিলম্বে মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পারভেজ বলেন, “প্রয়াত সাংবাদিকরা তাদের কর্মের মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে আছেন। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং অসুস্থ সাংবাদিকদের সুস্থতা কামনা করছি।

সভাপতির বক্তব্যে ফয়সাল আজম অপু বলেন, আমরা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি মো: নুরে ইসলাম মিলন ভায়ের নেতৃত্বে রাজশাহীর সকল সাংবাদিক সে আমাদের সংগঠনের না হলেও শুধু সাংবাদিকতা করেন এমন জানলে তার বিপদে আপদে ছুটে যায়। আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করি সাংবাদিকদের পাশে থাকার। কিন্তু আজ আমাদের সেই সাংবাদিক ভায়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাবশত রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। আমি সংগঠনের পক্ষে আমাদের সভাপতি মো: নুরে ইসলাম মিলন,দপ্তর সম্পাদক সুরুজ আলীসহ রাজশাহীতে এমন হয়রানীর স্বীকার সাংবাদিকদের পক্ষে তাদের নামে দেয়া এসব মিথ্যা মামলা তদন্ত পূর্বক অব্যাহতি দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,তথ্য উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পুলিশের মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবর আবেদন করেছি। আমার বিশ্বাস তারা আমাদের সাংবাদিক ভাইদের নামে হওয়া মিথ্যা মামলাগুলো তদন্ত পূর্বক প্রত্যাহার করে নেবেন। এ সময় যেন আমাদের সাংবাদিকদের কোন রকম হয়রানি করা না হয় ।
তিনি বলেন,”সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা ও পেশাগত মানোন্নয়নে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সবসময় কাজ করে যাবে। প্রয়াত সাংবাদিকদের আত্মার শান্তি কামনায় আমাদের এই আয়োজন ছোট্ট প্রয়াস মাত্র।

সঞ্চালক মো: সুরুজ আলী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ থাকলে সাংবাদিক সমাজ সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে। সকল প্রয়াত ও অসুস্থ সাংবাদিকদের জন্য আমরা দোয়া করছি।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দসহ রাজশাহীর বিশিষ্ট সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।




আই.বি.ডাব্লিউ.এফ’র লিটন সভাপতি, আব্দুর রহিম সেক্রেটারি

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের রাজশাহী জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বুধবার বিকালে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবন হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নুরুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ড. আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ডিরেক্টর মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম৷

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে জোন সভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, জোন সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল, মহানগর সভাপতি এ কে এম সরোয়ার জাহান প্রিন্স, সেক্রেটারি মো: আব্দুল হান্নান৷ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির রাজশাহী জেলার প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক আব্দুল খালেক৷ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মো: গোলাম মুর্তজা, মাওলানা আব্দুল খালেক, অধ্যাপক মইনুল হোসেন প্রমূখ৷

সম্মেলনে সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির কাছ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন যথাক্রমে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, মো: গোলাম সাকলায়েন, মাওলানা আব্দুল হালিম, আলহাজ্ব সাহারুল হুদা, রবিউল ইসলাম খাঁন, অধ্যক্ষ ড. আব্দুর রহিম, মোঃ খায়রুল বাশার, মাওলানা মো: রুহুল আমিন, কৃষি উদ্যোক্তা আজের আলী প্রমূখ৷

দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ নুরুজ্জামান লিটন সভাপতি ও অধ্যক্ষ ড. আব্দুর রহিম সেক্রেটারি নির্বাচিত হন৷ পরে উপস্থিত কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়৷ সম্মেলনে সংগঠনের চারজন আজীবন সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়৷ সম্মেলনে গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, চারঘাট, বাঘা উপজেলার ২৫০ জন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন




রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা সংলগ্ন বার রাস্তার মোড়ে গোল চত্বর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানায় বার রাস্তার মোড়ে দৃষ্টিনন্দন গোল চত্বর নির্মাণের দাবিতে আনুমানিক সকাল ১১ ৩০ মিনিটে রাজশাহী মহানগর যুবদলের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোঃআরিফুজ্জামান সোহেল এর নেতৃত্বে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন এবং যুব সমাজ ও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি গোল চত্বর নির্মাণের দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা ভ্যান এবং নানা রকম যানবাহন আরোহীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম তৈরি হয়। যুব সমাজ ও এলাকাবাসীর দাবি, এই ক্রসিং রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বছরে১৫ থেকে২০ টি বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং অনেক প্রাণহানিও ঘটেছে। দুর্ঘটনা থেকে মুক্ত হতে দ্রুত দৃষ্টিনন্দন গোল চত্তর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করে। অত্র এলাকাবাসী এমনকি এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থাও থাকলেও কাজে আসে না রাজশাহী মহানগরের ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ঘটনা প্রবল এলাকার মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে আছে এই এলাকাটি। যেখানে প্রতিমাসে দুই চারটি দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাদের এক দফা এক দাবি, দৃষ্টিনন্দন গোল চত্তর নির্মাণ করতে হবে। রাজশাহীতে দৃষ্টিনন্দন গোল চত্বর এর দাবিতে মানববন্ধন করেন অত্র এলাকাবাসী




বাংলাদেশে পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন

বাংলাদেশে পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে প্রথম পর্যায়ে ১০০ জনকে চাকরি দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান কার্যালয় ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আহতদের একেকজনের একেক সমস্যা রয়েছে। সবগুলো বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে এক হাজার শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক ডিউটিতে নেওয়ার জন্য প্রোপোজাল লেটার দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ডিউটি করবেন। এখন পর্যন্ত ৪০০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

উপদেষ্টা জানান, এর বাইরেও ট্রাফিক ডিউটিতে কাজ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়োগের জন্য প্রপোজাল লেটার দেওয়া হয়। আশা করেছিলাম, তাদের অনেককে পাব। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া পাইনি। আমরা ৫০০ জনকে দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মতো পেয়েছি।




মোহনপুরে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিকী কাউন্সিলে

মোহনপুর উপজেলা প্রতিনিধ
মোহনপুরে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিকী কাউন্সিলে
সাধারণ সম্পাদক পদে ছাতা মার্কা প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা,ইউনিয়ন,ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গসহযোগী সংগঠন এর সমর্থন

রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা মোহনপুরে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিকী কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আর রশিদ ছাতা মার্কা প্রতীকে নির্বাচনী সভা বুধবার ২১শে ডিসেম্বর বিকালে উপজেলা চত্তরে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপত্বি করেন বাকশিমইল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আল-আমিন সরদার, বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র আলাউদ্দিন আলো, যুগ্ন আহায়ক জাকির হোসেন বকুল, সাবেক চেয়ারম্যান ইসলাম আলী সরদার, কৃষক দলের আহায়ক গোলাম মোস্তফা বাবলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব মাসুদ রানা, ছাত্রদলে আহায়ক আঃ রাজ্জাক, রুস্তম আলী, আঃ মালেক, নূরে আলম সিদ্দিকী মুুকুল, ইউনুস আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মেজর আলী বিশ্বাস, জিল্লুর রহমান প্রমুখ। সভায় আগামী ২২শে ডিসেম্বর সাধারণ সম্পাদক পদে মাহাবুব আর রশিদ এর ছাতা মার্কা প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন ইউনিয়ন বিএনপি একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।




আত্রাইয়ে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

আব্দুল মজিদ মল্লিক, আত্রাই নওগাঁর আত্রাইয়ে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসন ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর

সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে দুই দিনব্যাপী
গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী ময়ের পিষ্টি ও শিশুর সংবেদনশীল ও উদ্দীপনামূলক যত্ন মডিউল-১ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক ইসরাত জাহান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিনথিয়া হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ রোকসানা হ্যাপি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আলমগীর কবির প্রমুখ।




বড়াইগ্রাম উপজেলা ডায়াবেটিক কল্যাণ সমিতির মতবিনিময় সভা

(বড়াইগ্রাম নাটোর প্রতিনিধি)
নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা ডায়াবেটিক কল্যাণ সমিতির ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ সভা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। গত বৃহষ্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উক্ত সমিতির সভাপতি লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ও সদস্য মো. সোলায়মান আলীর সঞ্চালনায় সমিতির হাসপাতাল, বনপাড়াতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ¦ আকবর আলী মৃধা, সদস্য ডা. ওয়ালিউল ইসলাম, উপজেলা পরিবার পরিকলনা কর্মকর্তা (অব.) প্রবীন কুমার, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, মাঝগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মহিবুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মসলেম উদ্দিন, মমিনুুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম স্মার্ট প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ¦ সাইফুর রহমান ও সহ-সভাপতি আলহাজ আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বিভাগ খোলা, অবকাঠামো বৃদ্ধির জন্য জমি ক্রয়, ভবনের দ্বিতীয়তলা নির্মাণ ইত্যাদি বিষয় আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সম্মানজনক আর্থিক সহায়তার আশ^াস প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমিতির সভাপতি লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস।




ভিডিও ফুটেজে নারীর ওপর হামলা, পুলিশের প্রতিবেদনে উলটে গেল ঘটনা

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক :
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক নারীকে চেয়ার থেকে তুলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন যুবক। এসময় ওই নারীকে কিল-ঘুসিও মারতে দেখা যায়। ঘটনাটি ঘটে গত ১৪ আগস্ট দুপুরে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে। ভিডিওটি তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এক নারীকে এভাবে লাঞ্ছিত করায় জেলাজুড়ে শুরু হয় হইচই। ওই নারীর নাম সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলে দাবি করেন। তবে পুলিশের প্রতিবেদনে পালটে গেছে ঘটনা।

পুলিশ উলটো বলছে, ওই নারীই ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে দলগতভাবে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রে মহড়া দিয়েছেন। এ সময় অধ্যক্ষকে শারীরিক লাঞ্ছিত করে আলমারি ভেঙে কলেজের জরুরি কাগজপত্র ও রেজুলেশন বই নিয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেন। এভাবেই একটি প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দাখিল করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে এক লাইনও মিল নেই পুলিশের দেওয়া ওই প্রতিবেদনের। পুলিশের এমন তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রউফ বলেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঘটনার উলটো প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। সমস্ত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও পুলিশের এই প্রতিবেদন ইঙ্গিত করে অনেক কিছুই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, আমি যেটা সত্য পেয়েছি, সেভাবেই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। কোনো ভিডিও ফুটেজের বিষয়ে আমার জানা নেই।

সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের পদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। ২০১৪ সালে কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা নেই মর্মে সাবিনা ইয়াসমিনকে সাময়িক বহিষ্কার করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। তবে ওই অভিযোগের বিষয়ে ১১ বার তদন্ত করে কোনো সত্যতা পায়নি মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালে কলেজের উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু দায়িত্ব না দিয়ে তাকে আবারও সাময়িক বহিষ্কার করে জোরপূর্বক অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে রাখেন তৎকালীন অধ্যক্ষ নওয়াব আলী। সর্বশেষ গত ১৪ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ বাস্তবায়নে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনকে যোগদানের বিষয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম বরাবর একটি চিঠি দেন। ওই চিঠি নিয়ে যোগদান করতে গেলে হামলার মুখে পড়েন ওই নারী। এসময় বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভিডিও ধারণ করেন।

মামলার এজাহারে ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও মামলার বাদী হাবিবুল ইসলাম দাবি করেন, সাবিনা ইয়াসমিনসহ আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গত ১৪ আগস্ট কলেজ চলাকালীন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে। আসামিরা অধ্যক্ষকে শারীরিক লাঞ্ছিত করে এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। মামলার সেই এজাহারের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। যার সঙ্গে বাস্তব ঘটনার মিল নেই। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাবিনা ইয়াসমিনের ওপর হামলাকারী ওই কলেজেরই দর্শন বিভাগের শিক্ষক টিপু সুলতান। তার সহযোগী হিসাবে ছিলেন একই কলেজের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক লস্কর, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক আতিয়ার রহমান এবং সাবেক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সিরাজুল হক।

কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকলে আসামিপক্ষ আদালতকে বলতে পারেন। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। কুষ্টিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান লাকী বলেন, পুলিশ যদি দৃশ্যমান ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সঠিক তদন্ত না করে, তাহলে বিচার প্রার্থীরা সঠিক বিচার পাবে না।




আত্রাইয়ে সাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আব্দুল মজিদ মল্লিক,
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি–বার্ষিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার উপজেলার পূর্বমিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক এ সম্মেলন ভোটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও আত্রাই-রাণীনগর বিএনপির অবিভাবক শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু,

বিশেষ অতিথি হিসেবে আত্রাই থানা বিএনপির আহবায়ক চকলেট, তছলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে সভাপতি পদে মো: রফিকুল ইসলাম রফিক ২৬৯ ভোটে ও সাধারণ সম্পাদক পদে সার্জেন্ট (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুর রশিদ বাবু ২৫০ ভোটে বিজয়ী হন।
অপর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সভাপতি পদে হাফিজুর রহমান মিঠু ৮৫ ও সাধারণ সাধারণ সম্পাদক পদে নজরুল ইসলাম ১০৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়।

সকাল ১০ টা হতে বিকেল ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত সাধারণ ভোটারদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে এ সম্মেলনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলনে সার্বিক সহযোগীতায় সাহাগোলা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম সহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।