রাজশাহী পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নাম, ছবি,ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজশাহী নগরীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মো. মানিক উদ্দিনকে এমপিওভুক্ত করার ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি রিটায়েড করার পরেও মৌখিক ভাবে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান রাজু এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনবল কাঠামো অনুযায়ী, ইন্টারমিডিয়েট কলেজে ন্যূনতম ৬০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে এমপিওভুক্তির জন্য। অথচ উক্ত কলেজে প্রথম বর্ষে ১ জন ও দ্বিতীয় বর্ষে ৩ জন—মোট ৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি থাকলেও, অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম নকল তালিকা তৈরি করে ৬৫ জন শিক্ষার্থীর নাম, ছবি ও স্বাক্ষর জাল করে মোঃ মানিক উদ্দিন কে প্রভাষক এমপিওভুক্ত করেন।

বেশ কিছু শিক্ষার্থীরা বলেন যে আমরা নিজেও জানিনা যে আমরা পরিসংখ্যান বিভাগে শিক্ষার্থী। আমাদের স্বাক্ষর, ছবি,জাল করা হয়েছে। কারো ছেলের জায়গায় মেয়ের ছবি দিয়েছে, শিক্ষার্থীর জায়গায় কার বাবা ও মায়ের স্বাক্ষর জাল করেছে।

এক শিক্ষার্থীর নাম তাসমিয়া কেয়া, মাতার নাম তানিয়া সুলতানা , শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরের জায়গায় দেখা যায় তার মাতা তানিয়ার স্বাক্ষর। শিক্ষার্থী বলে এটা আমার স্বাক্ষর না আমার নাম এর জায়গায় আমার আম্মার নাম স্বাক্ষর করা আছে। এ ব্যাপারে আমি কোন কিছুই জানিনা।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এই ঘটনায় তথ্য গোপন, প্রতারণা ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি এখন ব্যস্ত, পরে নথিপত্র দেখে জানাবো।”

অভিযোগের পরেও তিনি বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যা প্রশাসনিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।




মোহনপুরে এসএসসি সমমান ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে ২১২১ জন পরীক্ষর্থী।

মোহনপুর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রে আজ এসএসসি সমমান পরীক্ষা দিচ্ছে ২১২১ জন পরীক্ষার্থী।

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত ও কেন্দ্র সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন এই কেন্দ্রে ৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৫১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মোহনপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত ও কেন্দ্র সচিব আব্দুল লতিফ বলেন এই কেন্দ্রে ৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) ও কেন্দ্র সচিব খোরশেদ আলম শাহ বলেন এই কেন্দ্রে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। কেশরহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনন্সটিউট অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত ও কেন্দ্র সচিব আসলাম হোসেন খাঁ বলেন এই কেন্দ্রে ১১টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৮২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সাকোয়া বাকশৈল কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন এই কেন্দ্রে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন পরীক্ষা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ১০০ গজের মধ্যে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং জনগণ উব্ধুদ্ধ করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।




চৌদ্দগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠান।

মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা সেকান্দর আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মিলাদ মাহফিল, দোয়া, আলোচনা ও উপহারের মধ্য দিয়ে বিদায়ী অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তৈরী হয় আবেগঘন পরিবেশ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে পরীক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও ফুল দিয়ে শুভকামনা জানানো হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল মমিন মুন্সির সভাপতিত্বে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুল্লাহ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ খায়ের মজুমদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন ডেভিড, বাতিসা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল আহ্বায়ক কাজী ফরহাদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাতিসা ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, আজাদ পালোয়ান হিরন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বক্কর ছিদ্দিক, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ, নাজমুল হক, আবদুল্লাহ, ছাত্রদল নেতা জিহাদ, শাফায়াত, সৈকত, মাসুদ, রাসেল প্রমুখ।
পৃথকভাবে শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করে বাতিসা ইউনিয়ন ছাত্রশিবির। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং ফুল দিয়ে শুভকামনা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাতিসা ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন ভুঁইয়া সুজন, মাওঃ কামাল উদ্দিন, পর্তুগাল প্রবাসী আরিফ বিন জাহিদ, কুমিল্লা জেলা এইচডিআর সম্পাদক নূর উদ্দিন মাহবুব, প্রফেসর মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া, শিক্ষক পরিষদ সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ, ২নং ওয়ার্ড সহ-সভাপতি আবুল হাশেম ভুঁইয়া।




পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে পিএসসির গেট ভেঙে ভেতরে আন্দোলনকারীরা

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক:
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সূচি অনুযায়ী, আগামী ৮ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সূচি প্রকাশের পর থেকেই লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এই দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পিএসসির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন ৪৬তম বিসিএস লিখিত প্রার্থীরা।

এদিকে, তাদের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দুপুরে পিএসসি কার্যালয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা পড়াশোনা করছে তারা সবাই তৈরি। তারা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি মনে করি তারা দুই সপ্তাহ পরীক্ষা পেছানোর জন্য বসে নেই। একই সিলেবাসে দুই পরীক্ষা দেয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা পেছানোর দাবিটা মনে হয় না যৌক্তিক।’

এই বক্তব্যের পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে। তাদের দাবি, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনো অর্ধেক প্রার্থীর ভাইভা শেষ হয়নি বলে জানান

তাদের ভাইভা কবে শেষ হবে আমরা জানি না। এর মাঝেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ৮মে এবং ৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আগামী ২৭ জুন হবে বলে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬ এর লিখিত দেবে, আবার লিখিত পরীক্ষাতেও অংশ নিতে হবে। এ ছাড়া ৪৭তম প্রিলিতেও অনেকে অংশ নিবে। এত কম সময়ের মধ্যে এত প্রিপারেশন নেওয়া কঠিন। তাই লিখিত পরীক্ষা পেছানো উচিত বলে দাবি করেন তারা।




এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা, কোচিং-ফটোকপি বন্ধসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা

জন্মভূমি ডিজিটাল ডেস্ক
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আর মাত্র তিনদিন বকি। আগামী ১০ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় অংশ শেষ হবে ১৩ মে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

এবারের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে নানামুখী চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। গত ১৬ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

নানামুখী চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টরা। তারই অংশ হিসেবে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরিপত্রে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি, ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখা এবং লিখিত পরীক্ষা চলাকালীন টানা ৩৪ দিন সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

পরিপত্রে থাকা একগুচ্ছ নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিটের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে এলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে।

বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ বা পরীক্ষা গ্রহণে অনুমতি প্রদান করা যাবে না।

কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মুঠোফোন ও মুঠোফোনের সুবিধাযুক্ত ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত হতে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে। ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত হতে কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/কর্মকর্তার (ট্যাগ অফিসার) উপস্থিতি ব্যতীত প্রশ্নপত্র ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত থেকে বের করা যাবে না বা বহন করা যাবে না।

ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে বহুমুখী নির্বাচনী প্রশ্নসহ রচনামূলক/সৃজনশীলের সব সেট প্রশ্নই নিতে হবে। প্রশ্নের সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্রসচিব এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে নির্ধারিত সেট কোড নিশ্চিত হয়ে বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।

পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা–সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

অনিবার্য কারণবশত কোনো পরীক্ষা বিলম্বে শুরু করতে হলে যত মিনিট পর পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের সে সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় দিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে ও প্রশ্ন পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে।

পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব উত্তরপত্র নিকটস্থ ডাক বিভাগে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বোর্ডগুলো পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করবে।

পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সভাপতি, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা দায়িত্ব পালন করবেন




বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

নিজস্ব সংবাদদাতা
রাজশাহীতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার নগরীর অভিজাত এক কমিউনিটি সেন্টারে ‘বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড সচিব প্রফেসর ড. শামীম আরা চৌধুরী।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার আহবায়ক মো. রকিউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. গোলাম সোরয়ার স্বপন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. জাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যাড. পারভেজ তৌফিক জাহেদী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের রাজশাহী সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রইসুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহানগর পিপি এ্যাড. আলী আশরাফ মাসুম।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল মালেক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মো. আমজাদ হোসেন, উপদেষ্টা বাবর হোসেন সরকার ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান।

উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকবৃন্দ আরো অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন




রাজশাহীতে ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীতে ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০ টায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সহ বাংলাদেশের সকল জেলা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা মিডটাম পরিক্ষা বাতিল ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জানা যায়, পিএসসির অধীনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) বা ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর (দশম গ্রেড) পদে নিয়োগ প্রশ্নে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছিল।সেটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্ট শুনানী চলে।সম্প্রতি এই এতে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ৩০ শতাংশ ক্রাফট পদে নিয়োগ নিয়োগে আইন পাশ হয়।কারণ ক্রাফট পদে ননটেক বা সাধারণ শিক্ষা থেকে নিয়োগ পান প্রার্থীরা।কিন্তু পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা চান তাদের ইন্সট্রাক্টর পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা আসুক।

কিন্তু তাদের দাবি না মানায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।এর ধারাবাহিকতায় রাজশাহী পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নামেন।শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিসমূহ হচ্ছে :-

১. জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে অবিলম্বে ৩০% ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর কোটা বাতিল করতে হবে।

২. জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি থাকতে হবে।

৩. ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর সহ দেশের কারিগরি সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে (HSC Voc, SSC Voc, TTC students, HSC Science + trade course)

৪. কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাএদের জন্য) সকল বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।

৫. কারিগরি শিক্ষার প্রচার ও বৃদ্ধির এবং লক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয় কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী দের চাকরির আবেদনর সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টর এ সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।




পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

নিজস্ব সংবাদদাতা
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে মিডটার্ম পরীক্ষা বর্জন করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেন জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবিগুলো হলো- জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর টেক (১০ম গ্রেড) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশল’ ডিগ্রি থাকতে হবে এবং ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। তারা মূলত অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস। তাদের ডিপ্লোমার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হন, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবে। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য।

ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

সিলেট পলিটেকনিকের ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলোজির শিক্ষার্থী ও চলমান আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মো. তানজিদ হোসেন বলেন, দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে রাতারাতি অবৈধভাবে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে রাত ২টায় রেজাল্ট দিয়েছে। দিনে ৫০০ জন করে ভাইবা নেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করি




অধ্যক্ষ আমজাদের খুঁটির জোর কোথায়, নানা অনিয়ম প্রমাণিত হয়ে বেতন বন্ধ হওয়ার পরেও কলেজ করছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্য বিরোধী পতিত আওয়ামী লীগের দোসর, দাপটধারী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎ করা সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের নাম মো: আমজাদ হোসেন। উল্লেখ্য যে জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৭.৯, ১৮.১ এর গ এবং ঙ ধারা অনুসারে অনিয়ম প্রমাণিত হয়ে মাউশি অধিদপ্তর থেকে আজ অবধি বেতন বন্ধ রয়েছে।

জানা যায় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলাধীন বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির যেন শেষ নেই। নানাভাবে জালিয়াতি ও দুর্নীতি করে জিরো থেকে আজ হিরো হয়েছেন অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন।

আরো জানা যায় আওয়ামী লীগের দাপট ধারী সাবেক অবৈধ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং অত্র কলেজের সাধনের দোসর সাবেক কলেজ সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামানিক, শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার সকলের সাথে অধ্যক্ষ আমজাদ এক হয়ে আওয়ামী লীগের পরিচয় ও দাপট দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো নিয়ম ও বিধি বিধানকে না মেনে কলেজে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করেন। যা আজ অবধি অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দাপট চলমান রয়েছে। অধ্যক্ষ আমজাদের নানা অনিয়ম দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছেন কিছুদিন আগে মারা যাওয়া কানাডা প্রবাসী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় এবং তিনার নিজ পরিবারের সদস্য, অত্র কলেজের ছাত্র ছাত্রী, অভিভাব এবং অত্র কলেজের জনসাধারণ। অধ্যক্ষ কর্তৃক দাপট, জালিয়াতি ও অত্যাচারের শিকার হয়ে বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মো: এরশাদ আলী, অর্থনীতি এর ন্যায্য বেতন ভাতাদি ২০১৯ সালের জুন- জুলাই মাস থেকে আটকে রয়েছে। জানা যায় অধ্যক্ষ দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কলেজের বিদ্যমান পর্যাপ্ত নিজস্ব অর্থ আত্মসাৎ করেন, ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য তথা নিজের স্বার্থে নানা অনিয়ম শুরু করেন।

অধ্যক্ষের স্হায়ী বরখাস্তসহ ও শাস্তি দাবি এলাকাবাসীর।
সেইসাথে ভুক্তভোগী বৈধ প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর বকেয়া সহ বেতন চালুর দাবি।

উত্তর বঙ্গের নওগাঁ জেলার ঐতিহ্য বাহি ১৯৭০ সালে স্হাপিত “বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ” এর পলাতক শেখ হাসিনার পা চাটা গোলাম ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ২০১৪ সালের শেষের দিকে মোটা অংকের বিনিময়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মো: আমজাদ হোসেনের নানা অনিয়ম প্রমাণিত হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ হওয়ার পরেও পলাতক শেখ হাসিনার পা চাটা আরেক গোলাম অবৈধ অত্র কলেজের একসময়ের টানা ২৬ বছরের অধ্যক্ষ এবং অত্র কলেজের সাবেক অর্থলোভী কলেজ গভর্নিং বডির অবৈধ সাবেক সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামানিক মাঝখানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তিনি অধ্যক্ষের অনিমের সাথে এক হয়ে দীর্ঘদিন অবৈধ আওয়ামী সরকারের দাপট দেখিয়ে ভিন্ন উদ্দেশ্যে নানা অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ সহ নিজেদের খেয়াল খুশি মতো কলেজে বসে গোপনে নানা ষড়যন্ত্র করেছেন। অবৈধ শেখ হাসিনা দেশ থেকে পলাতক হওয়ার পরেরও শেখ হাসিনার ও অবৈধ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের দাপট ধারী অবৈধ কলেজ অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন কি করে এখনো কলেজে থাকতে পারে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে কলেজ এলাকার জনসাধারণের মধ্যে।

সকল জনসাধারণ অত্র কলেজের স্বার্থে এবং কলেজের সার্বিক উন্নয়নে অবৈধ অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের স্হায়ী বরখাস্ত সহ যথাযথ শাস্তি দাবি করছেন।

অবৈধ অধ্যক্ষ কর্তৃক অশুভ উদ্দেশ্যে ও অর্থ লোভে গোপনে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত জনাব মোঃ এরশাদ আলী, প্রভাষক – অর্থনীতি এর গত ০২/০৫/২০২০ খ্রী. তারিখের এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত আবেদনে কাগজপত্রে ও কলেজ গভর্নিং বডির গত ২২/০৮/ ২০১৫ সালের চলমান মূল রেজুলেশন টেম্পারিং করা, কলেজ পরিদর্শক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর টেম্পারিং করা ও অন্যান্য বিধি মোতাবেক কার্যক্রমে ব্যত্যয় করার বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে গত ২০/০২/২০২৩ খ্রী. তারিখে শুনানীকালে প্রতীয়মান হয়েছে এবং অধ্যক্ষ গভর্নিং বডির সদস্য সচিব থাকায় তিনি উক্ত অনিয়মের সাথে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে।

শুনানী পরবর্তীতে মাউশি অধিদপ্তর অবৈধ অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন এবং অবৈধ কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামানিক এর লিখিত ব্যাখ্যা ও মতামত চান। কিন্তু তাদের প্রদত্ত মতামত ও ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বৈধ প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর আনীত সকল অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা -২০২১ এর ধারা ১৭.৯,১৮.১ এর ( গ এবং ঙ) অনুযায়ী মাউশি অধিদপ্তর কর্তৃক গত ১৫/০৩/২০১৫ তারিখের চিঠির মাধ্যমে অধ্যক্ষ ড. মো: আমজাদ হোসেন, ইনডেক্স নং- R840239 এর এমপিও Stop Payment করেছেন।

উপরের অনিয়ম গুলো করে অধ্যক্ষ কলেজে ডিগ্রি শাখায় গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন না করেই বিধি বর্হিভূত ভাবে পাঁচটি বিষয় যথা বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ভুগোল বিষয়ে অবৈধ নিয়োগ দেখিয়েছেন বেতন করে দিবেন বলে। আজ অবধি কলেজের শিক্ষক হাজিরা খাতায় অবৈধ পাঁচজন শিক্ষকের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে এবং তাঁরা কলেজে যাওয়া আসা করেন। বিষয় টি জরুরি ভিত্তিতে খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি করছেন সাধারণ শিক্ষক ও আমজনতা।

জানা যায় যে, অবৈধ আওয়ামী সরকারের দাপট ধারী অধ্যক্ষের ও সাবেক সভাপতির নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কবলে পড়ে অত্র কলেজের বিধি মোতাবেক বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর ন্যায্য বেতন ভাতা ২০১৯ সালের জুন- জুলাই মাস থেকে আজ অবধি আটকে থাকায় তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর বৈধ নিয়োগ বোর্ড ব্যবহার করে অধ্যক্ষ যে সমস্ত অনিয়ম ও জালিয়াতি করেছেন তা নিম্নে প্রমাণ সহ বর্ণনা করা হলো:

(১) গত ০১/০৪/২০১৫ তারিখে কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পত্রিকা দৈনিক সমকাল ও সানশাইনে উল্লেখিত কিছু বিষয় অধ্যক্ষ অশুভ উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে গোপনে পরিবর্তন করে ভুয়া পাঁচ টি বিষয় নিয়োগ দিয়েছেন।

(২)শিক্ষক নিয়োগের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৮/০৬/২০১৫ তারিখের বৈধ মনোনয়ন চিঠি অধ্যক্ষ পরে গোপনে জালিয়তি করে চিঠি তৈরী করেছেন এবং বিষয় পরিবর্তন করে অবৈধ পাঁচটি বিষয় নিয়োগ দেন।

(৩) ডিজি’র প্রতিনিধির গত ২৬/০৭/২০১৫ তারিখের চিঠি বৈধ চিঠি যেখানে তিনটি বিষয় যথা গার্হস্থ্য অর্থনীতি ( ফারহানা), মনোবি (মো: শহিদুজ্জামান) ও অর্থনীতি ( মো: এরশাদ আলী) নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ পরে গোপনে এই প্রকৃত চিঠির স্বাক্ষর জাল করে আটটি বিষয় বসিয়ে ভুয়া চিঠি তৈরী করে ভুয়া নিয়োগ দিয়েছেন।

(৪) গত ৩১/০৭/২০১৫ তারিখের C S কপি (সাক্ষাৎকার বোর্ডের ফলাফল সীট) এর সকল স্বাক্ষর অধ্যক্ষ টেম্পারিং করে ভুয়া C S কপি তৈরী করেছেন অবৈধ পাঁচটি বিষয় নিয়োগ দেন।

(৫) কলেজ গভর্নিং বডির গত ২২/০৮/২০১৫ তারিখের মূল রেজুলেশনে যেখানে বৈধ তিনটি বিষয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান ও অর্থনীতি নিয়োগের উল্লেখ ছিল। অধ্যক্ষ পরবর্তীতে ঐ মূল রেজুলেশন ব্যাপক কাটাকাটি করে তিনটির জায়গায় আটটি বিষয় বসিয়ে বিধিবহির্ভূত পাঁচটি বিষয় নিয়োগের উল্লেখ করেছেন অর্থ লোভী অধ্যক্ষ যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

(৬) গত ৩১/০৮/২০১৫ তারিখের মোঃ এরশাদ আলীর সঠিক নিয়োগ পত্রের পদ অধ্যক্ষ পরে পরিবর্তন করেছেন অসৎ উদ্দেশ্যে। যা এরশাদ বেতন না হওয়ার মূল কারণ।

(৭) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গত ২৯/০৪/২০২০ তারিখের বৈধ স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০০২.২০১৯(অংশ -৫).৮৩ এই স্মারক অধ্যক্ষ পরিবর্তন করে ৩৭.০২.০০০০.১০২.৯৯.০০১.২০.১৪ এই ভুয়া স্মারক লিখেছেন প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর গত ০২/০৫/২০২০ খ্রী. তারিখের এমপিও আবেদনের অগ্রায়ন পত্রে।

জানা যায় যে, অধ্যক্ষের উপরোক্ত সকল জালিয়াতি রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের ঐ সময়ের পরিচালক মহোদয় প্রমাণ পেয়েছিলেন ও এরশাদ আলীর বেতন না হওয়ার লিখিত মন্তব্য কপিতে প্রমাণক পূর্বক অধ্যক্ষের শাস্তির জন্য মাউশি অধিদপ্তরের নির্দেশনার জন্য পাঠিয়েছিলেন।

জানা যায় যে, অধ্যক্ষ এরশাদ আলীর বেতন না হওয়ার কারণ দীর্ঘদিন ধরে অকৌশল করে ও নানা তাল বাহানায় সময় পার করেছেন। এক পর্যায়ে এরশাদ আলী কলেজ গভর্নিং বডিকে জানালে সাবেক সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামানিক, সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার এবং অন্য সদস্য বৃন্দগণ এরশাদ আলীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলেন। সাবেক সভাপতি মাঝখানে বলেন যে অধ্যক্ষের লজ্জা নাই, সে অনিয়ম করেছে অধ্যক্ষের শাস্তি হবেই। শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার তিনিও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

পরবর্তীতে গত ০৩/০৩ /২০২২ তারিখে এরশাদ আলী অধ্যক্ষের উপরোক্ত অনিয়ম তুলে ধরে মাউশি অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন এবং শেষ পর্যন্ত অভিযোগ সত্য প্রমান হয়।

উপরোক্ত অনিয়মের দায়ে অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ হয়েছে ও অন্যান্য শাস্তি নিশ্চিত জেনে অধ্যক্ষ ও বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মো: সেফাতুল্লাহ (সাবেক শিক্ষক,অত্র কলেজ) এখন নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য ও নিজের চাকরি ও পদ বাচাঁতে আইন ও নিয়ম কে অবজ্ঞা করে তথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাউশি অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে অবজ্ঞা করে বর্তমানেও কলেজে বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর সাথে পুনরায় অনিয়ম, নানা ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।

জানা যায় প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীট কলেজে উপস্থিত হওয়ার পরেও অধ্যক্ষ হাজিরা খাতা গোপন করেন এবং এরশাদ আলীকে স্বাক্ষর করতে বাধা প্রদান করে স্বাক্ষর করতে দিচ্ছেন না দীর্ঘ দিন ধরে। জানা যায় অধ্যক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাষক এরশাদ আলীকে কলেজের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। অধ্যক্ষ যড়যন্ত্র করে নানাভাবে এরশাদ আলীকে পাগল, মাথা টালমাতাল, অকথ্য ভাষা ও উস্কানিমূলক নানা কথাবার্তা বলে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। অধ্যক্ষ নানা যড়যন্ত্র করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরশাদ আলীর বিষয় (অর্থনীতিতে) ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে নিষেধ করছেন ও অর্থনীতিতে ভর্তি শুন্য করে দিচ্ছেন ও অসত্য তথ্য প্রদান করছেন। এমন কি অর্থনীতিতে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীর নাম ভর্তি রেজিস্ট্রার থেকে লাল কালি দিয়ে গোপনে কেটে বাদ দেওয়া ম, মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মাউশিতে। বর্তমানে অধ্যক্ষ ষড়যন্ত্র করে এরশাদ আলীর চাকরির ও জীবনের অপূরনীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন।
জানা যায় এখন অধ্যক্ষ ও সভাপতি এক হয়ে কলেজের অর্থ অপচয় করে ছোটাছুটি করছেন শুধু অধ্যক্ষের চাকরি ও সভাপতির পদ বাঁচাতে।

উল্লেখ্য যে, সাবেক সভাপতি অত্র কলেজেই বর্তমান অধ্যক্ষের পূর্বে
একটানা বিগত ২৬ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন, এখানেই নানা রহস্য লুকিয়ে আছে। এজন্যই তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং অধ্যক্ষের নানা অনিমের সাথে এক হয়ে অর্থ লোভে নানা ষড়যন্ত্র মূলক বিধি বহির্ভূত কাজ করেন এবং অপূরনীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী শিক্ষক মো: এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর তথ্য মতে আরো জানা যায় যে অত্র কলেজের ধানী জমি, পুকুর, আম বাগান, কাঠের বাগান, কলেজ মার্কেট সব মিলে প্রায় ৬০- ৭০ বিঘা জমিজমা রয়েছে। যা থেকে প্রতি বছর বড় অংকের আয় হয় কিন্তু অর্থ গুলো নয় ছয় করে অধ্যক্ষ আত্মসাৎ করে। সব জমি কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের পক্ষ থেকে কলেজে দেওয়া হয়েছে।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার অল্পদিনেই অর্থ আত্মসাৎ করে অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন অনেক অর্থের মালিক হন এবং রাজশাহী শহরের বহরমপুর মোড়ে বহুতল ভবনের বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন।

আরো জানা যায় যে, সেই মর্মে কলেজ প্রতিষ্ঠা পরিবারের সদস্য জনাব আব্দুল হাকিম প্রাং ও জনসাধারণ অধ্যক্ষ কর্তৃক নিয়োগ জালিয়াতি ও নানা অনিয়ম সহ কলেজের অর্থ আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং তদন্ত হয়ে কাজ চলমান রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ শাস্তি গ্রহন করা জরুরি হয়ে গেছে।

অবৈধ অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের স্হায়ী বরখাস্ত করনসহ বিভাগীয় আইনি ব্যবস্হা গ্রহনের দাবি করছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় (বর্তমান কানাডা প্রবাসী), কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য, কলেজ এলাকাবাসী, উপাধ্যক্ষ, অন্যান্য শিক্ষক/কর্মচারী, ছাত্র – ছাত্রী, অভিভাবক, এরশাদ আলির নিয়োগ কালীন কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য বৃন্দ।
সেই সাথে সকলেই ভুক্তভোগী বৈধ প্রভাষক ( অর্থনাীতি) মোঃ এরশাদ আলীর ক্ষতি পুরন সহ ২০১৯ সালের জুন – জুলাই মাস থেকে বকেয়া সহ বেতন ভাতা স্বল্প সময়ের মধ্যে চালুর জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, মাউশি অধিদপ্তর ও রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের নিকট অনুরোধ করছেন। এমন দাবি করছেন ভুক্তভোগী প্রভাষক মো: এরশাদ আলী নিজে ও তার অতি কষ্টে থাকা মা-বাবা।

উল্লেখ্য যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত ২৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই চ্যান্সেলর মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে এবং কলেজ পরিদর্শকের স্বাক্ষরিত চিঠি প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর বকেয়া সহ বেতন চালুর জন্য কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি বরাবর প্রেরণ করার পরেও আজ অবধি সভাপতি এবং অধ্যক্ষ যোগসাজশ করে বেতন চালুর কোনই ব্যবস্হা গ্রহন করেন নাই।




রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহন করছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম। বুধবার বেসামরিক হিসাব পদ্ধতির ৪৭নং অনুচ্ছেদের বিধি অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সচিব প্রফেসর হুমায়ূন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আরিফুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক এনামুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) নূরুল ইসলাম খাঁন, উপ-সচিব(প্রশাসন) ওয়ালিদ হোসেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ আন্ত:শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব হুমায়ন কবীর, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলীসহ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর হুমায়ূন কবীর সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। চেয়ারম্যান তার অফিস কক্ষে সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে পরিচয়পর্ব ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।