বাঘায় বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন।

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। অতিরিক্ত লোডশেডিং ও দাপদহে কারণে গরমে ঘরে বসে থাকাও যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ যাবত তাপদাহ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিংও। দিনরাত মিলিয়ে নিয়ম করেই যেন ৮-১০ঘণ্টা চলে লোডশেডিং।
উপজেলা অধিকাংশ এলাকায় দিনে রাতে ৮-১০ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। মধ্যরাতেও একটানা ১-২ ঘন্টা লোডশেডিং হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে বাসিন্দারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ থাকছে না তারাবি, সেহরি-ইফতারের সময়ও। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে সহজে আসছে না। আবার আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদ। ঈদের কেনাকাটাকে সামনে রেখে বাজারের ব্যবসায়ীগণও তীব্র গরমে ঠিকমতো বেচাকেনা করতে পারছেন না।
চন্ডিপুর এলাকার কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সময়মতো পানি সেচ দিতে পারছে না তারা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
তথ্য মতে, বাঘা উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৫-১৬ মেগাওয়াট। বর্তমানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৫ থেকে ৭ মে.ওয়াট। ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের জন্য সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে কর্তৃপক্ষকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ না থাকায় শংকিত থাকতে হয় কর্মকর্তাদের।
বাঘা জোনাল অফিসের ডিজিএম সুবীর কুমার দত্ত বলেন, লোডশেডিং শুধু বাঘাতে না সারা দেশে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবারাহ কম হওয়ায় এই বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। বাঘাতে বিদ্যুতের চাহিদা ১৫-১৬ মেঘাওয়াট কিন্তু সেখানে পাই অর্ধেকেরও কম। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে লোডশেডিং কমে আসবে বলেও জানান।