রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপি কর্মীর ওপর বর্বরোচিত হামলা, অবস্থার অবনতি

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার ১১ নম্বর গণিপুর ইউনিয়নের নামাজগ্রাম গ্রামে আজ সকালে একটি বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি কর্মী সাহেব আলী (৪৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে জামাতের স্থানীয় আমির মোঃ মাহাবুর রহমানের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই মোঃ মাসুদ রানা (আওয়ামী লীগ সমর্থিত), মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ তারেক রহমান (মাহাবুর রহমানের পুত্র), মোঃ হাসিবুল ইসলাম (মাসুদ রানার পুত্র) এবং গনিপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়েত ইসলামির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী ক্যাডার মিলে সাহেব আলীর বাগান বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় সাহেব আলীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার মাথা, পিঠ এবং পায়ে গুরুতর জখম হয়। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সাহেব আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

ঘটনার পর পুরো নামাজগ্রাম এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, মতাদর্শের কারণে একজন মানুষকে এভাবে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা গণতান্ত্রিক সমাজে অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “নামাজগ্রামে আগেও রাজনৈতিক কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।”

এই বিষয়ে ভুক্তভুগীর ছেলে মৃদুল হাসান বলেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামাতের স্থানীয় আমির মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে আমার আব্বাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাগানবাড়ীতে হামলা করে এলোপাথারি মারপিট করার সময় আব্বার ডাক চিৎকার আমি ছুটে আসলে জামাতের আমির মাহাবুর আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার দিকে পিস্তল নিয়ে তেরে আসে আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তাৎক্ষণিক তারা আমাকে প্রাণশের হুমকি দিতে দিতে এখান থেকে চলে যায়। এলাকাবাসীর দাবি, হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাহেব আলির রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের আর্থপেডিক অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলমান। এদিকে তার পরিবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন তাদের পরিবার নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

ঘটনাটি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও মানবাধিকারকর্মীরা।

এই বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়টা অবগত হয়েছি এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *