রাজশাহীতে বারো রাস্তার মোড়ে গোলচত্বর করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি: মাসে ১০ থেকে ১৫টি দুর্ঘটনা, ঘটছে

মো:রাকিব আলন ক্রাইম রিপোর্টার রাজশাহীর বারো রাস্তার মোড়। যেখানে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে। মোড়টি এলাকাবাসীর কাছে এখন রীতিমতো আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী ওই মোড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে গোলচত্বরের দাবি জানিয়ে আসছে। এ দাবির অংশ হিসেবে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই কর্মসূচি পালন করে বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও সবুজ সংহতি। মানববন্ধন শেষে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
রাজশাহীর ছোট বনগ্রাম এলাকার বারো রাস্তার মোড়ে চারটি প্রধান সড়ক মিলিত হয়েছে। প্রতি মাসে এখানে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি দুর্ঘটনা ঘটে। গত ১৪ জানুয়ারি এই মোড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুরনজিত মহলদার নিহত হন। সর্বশেষ গত শুক্রবার একটি বাস একটি মোটরসাইকেলকে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন সড়কে আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ করেন।
মঙ্গলবার মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাজশাহী সবুজ সংহতির সদস্যসচিব নাজমুল হোসেন, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি শাইখ তাসনীম জামাল, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রমসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, বিমান চত্বর থেকে বিহাস পর্যন্ত চার লেনবিশিষ্ট সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রতিনিয়ত প্রাণহানি ঘটছে। তারা দ্রুত গোলচত্বর ও স্পিডব্রেকার নির্মাণ এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানান।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ওই মোড়ে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এক মাসে অন্তত ১০টি ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আগেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই রাস্তা দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চালান চালকেরা। রাত-দিন বালুর ট্রাক চলে। এলাকার রাস্তাজুড়ে বালুর স্তূপ আছে। এসবের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে।
বক্তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বারো রাস্তার মোড়ে দ্রুত গোলচত্বর নির্মাণ, সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন ও ডিজিটাল সিগন্যাল চালু, সড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ। এদিকে স্মারকলিপি পেয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি বারো রাস্তার মোড়ে গোলচত্বর নির্মাণের আশ্বাস দেন।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভয় করে। চোখের সামনে দুর্ঘটনা ঘটছে। কতজন কতভাবে আহত হচ্ছে। কিন্তু মোড়টির কোনো মেরামত করছে না। এলাকার সবাই মানববন্ধন করায় একজন ট্রাফিক পুলিশ দিয়েছে। কিন্তু তিনি একা কী করবেন। এখানে গোলচত্বর হলে সব গাড়ি দেখা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *