সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট, রাজশাহী
“পার করেছি আঠারো পেরিয়ে যাবো পাহাড়ও” – এই স্লোগানকে ধারন করে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় বাল্যবিয়ে মুক্ত আত্মনির্ভরশীল জীবন গড়তে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে আটটি গ্রামে দুইশ জন ১৩-১৭ বছর বয়সী কিশোরী নিয়ে” স্বপসারথি জীবন দক্ষতা উন্নয়ন সেশন সহ বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে ব্র্যাকের স্বপ্নসারথি সেশনের অনুপ্রেরনায় নিজেকে বাল্যবিয়ে মুক্ত রাখার শর্ত পূরন করে আঠারো পেরিয়ে উনিশে পর্দাপনকারী গ্র্যাজুয়েট খেতাব প্রাপ্ত কিশোরীর হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ শে এপ্রিল) বাঘা ব্র্যাক এলাকা অফিস হতে অর্থ গ্রহন করেন পাপিয়া, নদী, মিলা ও লাবনী সহ গ্র্যাজুয়েট প্রাপ্ত স্বপ্নসারথি কিশোরীগন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কর্মসূচির উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ মোমিনুল ইসলাম, হিসাব কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান ও সিও সেলপ মোঃ মমিনুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির রাজশাহী জেলা ব্যবস্থাপক মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, কিশোরীদের সম্ভাবনা বিকাশে বাল্যবিয়ে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করে থাকে।এই কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বপ্নসারথি কিশোরী সহ প্রান্তিক পর্যায়ের অনান্য কিশোরীরা বাল্যবিয়ে মুক্ত জীবন গঠনে উৎসাহিত হবে এবং এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখতে পারবে।
এ বিষয় কর্মসূচির রাজশাহী বিভাগীয় জোনাল ম্যানেজার( সেলপ) মোঃ আকছেদ আলী বলেন, ব্র্যাক রাজশাহী জেলার নয়টি উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশে ষাট হাজার কিশোরী নিয়ে বাল্যবিয়ে মুক্ত জীবন ও পরিবার গঠনে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। কার্যকর এবং টেকসই সুফল পেতে হলে কিশোর কিশোরী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ইমাম,কাজী, জনপ্রতিনিধি,সমাজ প্রধান, থানা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন সহ সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একই সঙ্গে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে থাকা কিশোরীদের শিক্ষা সহায়তায় সামাজিক পুঁজি গঠন করে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারলে অনেকাংশেই বাল্যবিযের হার কমানো সম্ভব।