মীরসরাই বিএনপি’র রাজনীতিতে দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলমান: তারেক রহমান এর হস্তক্ষেপ জরুরি

রাজনীতি
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

এম, এ কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :: জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম ১ মীরসরাই আসনে যে হারে নের্তৃত্ব দ্বন্দ্ব, দলীয় কোন্দল, আগামী নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে মারামারি-ধরাধরি চলমান রয়েছে তাতে আগামী নির্বাচনে দল থেকে যদি স্বয়ং তারেক রহমান ও এখানে প্রার্থী হন্ তাতে ও কি ওই কোন্দল নিরসন হবে? এমন প্রশ্ন দলীয় নেতা-কর্মী সহ সর্ব শ্রেণী ও পেশার মানুষের কাছে এক ধরনের হট কেক এর মতো আলোচনার খোরাক এ পরিনত হয়েছে!
প্রাসঙ্গিক ক্রমে বলা চলে- তা মোটেই হবে না তা কোনো দিন ও। বলতে গেলে-স্বয়ং তারেক রহমান ও যদি এখানে প্রার্থী হয়ে আসেন তার পরে ও হবে না অন্তর্কোন্দলীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা ভিত্তিক বিএনপি’র রাজনীতি।
কারণ, এখানকার গুটি কতেক বিএনপি’র নেতা-কর্মী নামধারীদের মধ্যে আওয়ামী দোসরীয় ভুত চেপে বসেছে।
সুতরাং, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তি বিশেষরা মনে করেন, আগে যাদের কে ভূতে ধরেছে তাদের কে আগে ভূতের জারা জারতে হবে। তার পর যদি হয় তারা হতে পারে আর কি।
তবে, এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র দায়িত্ব জ্ঞান সম্পন্ন নের্তৃবৃন্দের দ্রুত হস্তক্ষেপ।
এবং শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ এর ওপর ভরসা করে বসে থাকলে ও চলবে না। স্বয়ং তারেক রহমান ও হস্তক্ষেপ করে যেতে হবে। যদি তারেক রহমান হস্তক্ষেপ করে কোনো একটা বিষয়ে ফয়সালা করে দিতে পারেন তাহলে ই কেবল মীরসরাই উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতি কিছু টা হলে ও প্রাণ ফিরে পেতে পারে। নয় তো যে অবস্থা চলমান রয়েছে তা যদি চলতে থাকে তাহলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে মীরসরাই উপজেলা বিএনপি নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে বলে ও মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। আগেকার কথা বাদ দিলে ও গত ২৬ মার্চ যে ভয়াবহ অবস্থার জন্ম দিয়েছে তা কেউ আশা ও করতে পারেনি। ওই দিন বিএনপি’র এক তরতাজা যুবকের প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এবং আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা-কর্মী। যাদের মধ্যে এখনো কয়েকজন হাসপাতালে বেড়ে মৃত্যুর সাথে লড়ে যাচ্ছে।
এর পর গত পহেলা বৈশাখ আবারো বিবদমান দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় ২০ জনের ও বেশি নেতা-কর্মী।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হওয়ার- ই কথা- বিবদমান: উক্ত দু’গ্রুপের অতি উৎসাহি কিছু নেতা-কর্মী নিজেদের গ্রুপ-পক্ষ ভারী করার জন্য বিগত সময়ের সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের নিজেদের বোগলে ঠাঁই দিয়ে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। যার ফল ভোগ করে যেতে হচ্ছে দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের কে। বিগত ৎ১৬-১৭ বছর শতো-হাজারো হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন সহ নানাবিধ: কষ্ট শেষ করে এমন সময়তে মাথা উঁচু করে এবং বুক ফুলিয়ে চলার কথা হলে ও নিজ দলীয়দের কাছে নিজেরাই এখন জিম্মি হয়ে থাকতে হচ্ছে। আর এর সুফল ভোগ করে নিতে মরিয়া হয়ে রয়েছে বিএনপি বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে পতিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি’র এমন দুর্বলতার সময়ে ফের মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে ও মনে করেন অনেকেই।
ফলে, সারা বাংলাদেশের মধ্যে অতিত সময়ের বিএনপি’র দুর্গ হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত/খ্যাত উত্তর চট্টগ্রামের এই মীরসরাই উপজেলা তথা জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম ১ মীরসরাই আসনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর অতি দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তা যদি না হয় তাহলে বিএনপি’র দুর্গ খ্যাত মীরসরাই উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতি একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাবে যে তা নির্দ্ধিধায় বলা চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *