রাজশাহীতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক পরিবারের উপর এভাবে নির্যাতন চলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন নতুন বুধপাড়া এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ১০ মার্চ রাতে জুয়া ও মাদকের বিরোধীতা করায় এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মতিহার থানায় একটি চন্দ্রিমা থানায়। হামলায় আহত হওয়া নারীর শরীরে পড়েছে ১৩টি সেলাই।
অভিযোগকারী রোকসানা খাতুন (২৫) , জানান, অভিযুক্তদেরকে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ার কারণে গভীর রাতে বাড়ির গেটের সামনে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এরপর অভিযুক্তরা রামদা, পাইপ এবং হকিষ্টিক দিয়ে গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার স্তনের একাংশ কেটে গুরুতর আহত করা হয়। এছাড়া, হামলাকারীরা বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। অভিযোগকারির দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহী নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের আইনাল, সুরুজ ও ফারুক এর নেতৃত্বে তার সহযোগীরা সহ ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল হামলা চালায়। এ ঘটনায় ২৬ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামির সভাপতি মিজানুর রহমান মিলন বলেন, মেহেরচন্ডি এলাকার ৩০ নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আইনাল, সুরুজ ও ফারুক এর নেতৃত্বে এলাকায় জুয়া আর মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। যুবসমাজকে ধবংসের পথ থেকে বাচাতে এবং তাদের অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করায় পরিবারটির উপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলার স্বীকার হওয়া পরিবারটি জামায়াত পন্থী বলেও জানান তিনি। এই হামলা ও অপরাধের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনগণ ও পুলিশের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুততম সময়ে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। দুটি হয়েছে মতিহার থানায় ও একটি চন্দ্রিমা থানায়। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও আসামি গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি।