জন্মভূমি নিউজ ডেক্স
এবারের রমজানে ভোগ্য পণ্য তথ্য নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া অনেক পণ্যের দাম আগের তুলনায় কমেছে। এর ফলে রোজা কিছুটা হলেও ভোক্তা বা ক্রেতাদের স্বস্তিতে কাটছে। রোজার এক মাস আগেও যে সব পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখি ছিল সে সরের শুল্ক ছাড় দিয়ে সরকার বাজারকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। শুল্ক ছাড়ের সুফল ক্রেতারা পেতে শুরু করেছে। রোজার অতি প্রয়োজনীয় পণ্য খেজুর ও চিনির দাম এবার কমেছে। এ ছাড়া রোজার পণ্য হিসেবে পরিচিত ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে বাজারে শাক সবজির সরবরাহ প্রচুর এবং দামও ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। রোজার প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ এবং আলুর দামও এবার আগের চেয়ে কমেছে। দেশী পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০টাকা কেজি দরে। আর আলুর দাম এখনো ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এবার বাজারে মাছ, মুরগি এবং গোস্তের দামও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছুটা বাড়তি রয়েছে লেবু, শসা ও বেগুনের দাম। অন্যদিকে বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহও আগের চেয়ে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন চলতি সপ্তাহে ভোজ্য তেলের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে। সরকারি তথ্যমতে, গত পাঁচ মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বহুলাংশে কমেছে। গত রমজানের তুলনায় এবার বেশির ভাগ পণ্যের দাম কমেছে।
রমজানের প্রথম দিন বেগুনের দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। তবে পণ্যটির দাম এখন কিছুটা কমে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে লেবুর দাম এখনও বাড়তি আছে। বাজারে প্রতি হালি ভালো মানের লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে দুই তিনটি ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের সবজির দাম ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে আছে বাজারে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজির বাজারে দেখা যায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পটল ১১০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। ফুল কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাধা কপি ৩০, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।