অধ্যক্ষ শহীদুলকে চান রাজশাহী দারুস সালাম মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাঃ শহীদুল ইসলামকে স্বপদে দায়িত্ব পালনের ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী দ্বিনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারাদেশে এই মাদ্রাসায় পরিচিতি থাকলেও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে কেউ স্থায়ী হতে পারেনা। এ পর্যন্ত যতজন অধ্যক্ষ এসেছেন সবার বিরুদ্ধেই একদল ষড়যন্ত্রকারী সব সময় চক্রান্ত করেছে। যার ফলে এই মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং শিক্ষার মান দিন দিন কমে গেছে। ২০০২ সালের ২০ আগস্ট মোঃ শহিদুল ইসলাম অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিল এই মাদ্রাসায়। একশ্রেণীর ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে সাময়িক বরখাস্ত হলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দীর্ঘদিন বাহিরে ছিলেন তিনি।
গত পাঁচ আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় একদল দুর্বৃত্ত ব্যক্তিগত শত্রুতার ধরে তার ওপর আঘাত করলে আহত অবস্থায় তিনি এক মাসের ছুটির দরখাস্ত নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সময়ে অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে উপাধ্যক্ষ মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপাধাক্ষ কতিপয় শিক্ষক ও ছাত্রের মাধ্যমে মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট করেন এবং অধ্যক্ষের রুমে তালা মেরে জোরপূর্বক দখলে নিয়ে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার অভ্যন্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে এবং শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ২০২৪ সালের ৬আগস্ট ২৪ একটি আবেদন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরে জমা হলে ২০তারিখ পরিপত্রের মাধ্যমে উপাধক্ষের নিকট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে পাঁচ ডিসেম্বর ৩ সদস্যের তদন্ত টিমকে সরে জমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য বলা হয়। তদন্ত টিমের রিপোর্ট জমা হওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে পরিপত্র জারি করা হয় এবং সেখানে উল্লেখ করা হয় মহামান্য হাইকোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী তিনি বৈধ অধ্যক্ষ। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ অসত্য এবং কোনোটিই প্রমাণিত নয়।
এমন অবস্থা চলমান থাকলে মাদ্রাসাটি আরও বড় ক্ষতির দিকে চলে যাচ্ছে। মাদ্রাসার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে মাদ্রাসাটি রক্ষা করার জন্য অধ্যক্ষ ডঃ মোঃ শহীদুল ইসলামকে স্বপদে দায়িত্ব পালনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান মাদ্রাসার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীবৃন্দ।