নওগাঁর আত্রাইয়ে দেখা নেই সূর্যের, বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক,
নওগার আত্রাই গত কয়েকদিন দেখা নেই সূর্যের, হিমেল বাতাস আর ঝিরিঝিরি কুয়াশা বৃষ্টিতে নওগাঁর আত্রাইয়ে আবারও থমকে গেছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।

এদিকে কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে অনেকগুণ। কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েক সপ্তাহ ধরে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।

এ অঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় একটানা শৈত্যপ্রবাহকে ব্যতিক্রম বলছেন আবহাওয়া পর্যবেক্ষকেরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে আবারও বেড়েছে শীতের দাপট। সকালে কুয়াশা বৃষ্টির সাথে বেড়েছে ঠান্ডার দাপট। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে।

দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা নাই হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত। এদিকে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় রাস্তাঘাটে শ্রমজীবী মানুষের দেখা মিললেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম ছিল।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শ্রমজীবী নারী জাহানারা বেগম জানান, খুব সকালে তাকে ঘুম থেকে উঠে রান্নার কাজ শেষ করে কর্মস্থলে যেতে হয়। কিন্তু কয়েক দিনের শীতে কর্মস্থলে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবুও পেটের দায়ে যেতে হচ্ছে।

সিএনজি চালক রায়হান বলেন, সকালবেলা গাড়ি নিয়ে বের হলেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি থাকায় লোকজন কম থাকে। এজন্য তাকে গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।

এজন্য এসব খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকার সদয় হয়ে পাশে দাঁড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশাই করছেন তারা।

উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ভ্যান চালক আদিল বলেন, গত পাঁচদিন থেকে আবার খুব শীত পড়েছে। এতো বাতাস হচ্ছে সবাইকে একেবারে কাবু করে ফেলেছে। এর মধ্যে ভ্যান চালানো কষ্টকর। যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।

বদলগাছী কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণেই কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *