ভবানীগঞ্জে চাকুরির ৪০ বছর পরে বিদায় নিলেন অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান।

স্টাফ রিপোর্টার।
সালটা ১৯৮৫। জরাজীর্ণ টিনের তৈরি ১০টি শ্রেণিকক্ষতে ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু হয় ভবানীগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল স্মাতক মাদরাসার। সেই সাথে মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে যুক্ত হয়ে কর্মজীবনে পা রাখেন মো: জিল্লুর রহমান। এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি হয়ে ওঠে তার পরিবার।
ধীরে-ধীরে সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে জিল্লুর রহমানের তৈরি হয় আত্মার সম্পর্ক। সেই প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব কাধে নিয়ে জরাজীর্ণ থেকে অত্যাধুনিক ভবন গড়ে তোলায় তার ভূমিকা উদাহরণস্বরূপ। দীর্ঘ ৪০ বছর একই পদে থেকে সকলের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। এবার বিদায় নিয়ে অবসরে যাওয়ার পালা।
সেই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিনিয়ত মাদরাসাটির শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য বর্ধন করে মাদরাসাটিকে আরো উন্নত করায় যেনো ছিলো তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। এমন মহৎ ও প্রিয় অধ্যক্ষের বিদায়লগ্নে মাদরাসার প্রতিটি ধূলিকণা, ইট-কাঠ-পাথর, ভবন, গাছপালা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবই যেন নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে প্রিয় অধ্যক্ষের বিদায়বেলায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রিয় অধ্যক্ষকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে তিল-তিল করে নিজ হাতে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটিকে আজ বিদায় জানানোর দিন এসেছে। অবসরের সময় হয়েছে অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমানের। বিদায়লগ্নে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভালোবাসায় সিক্ত তিনি।
প্রিয় অধ্যক্ষের বিদায় বেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকবৃন্দ।