রাজশাহী বিভাগে ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার জনকে দেয়া হবে এইচপিভি টিকা

মোঃকাজী আব্দুল হালিম
ঢাকা ব্যতীত রাজশাহীসহ সকল বিভাগে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বিভাগীয় পর্যায়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমি জানি তোমরা মেয়েরা একটু ভয় পাও। তোমরা টিকা নিতে কোনো ভয় পাবেনা। এই টিকা বেলজিয়াম থেকে আমদানি করা হয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত ও নিরাপদ। তোমরা তোমাদের সহপাঠিদেরকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করবে, যাতে টিকা নিতে কেউ বাদ না পড়ে। এই টিকা অনেক মূল্যবান। এখন যদি টিকা নেওয়া থেকে কেউ বাদ পড়, তাহলে পরবর্তীতে এই টিকা নিতে হবে তিনটি ডোজের মাধ্যমে যার মূল্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা।

হুমায়ূন কবীর বলেন, মেয়েদের তিন ধরণের ক্যান্সার বেশি হয়। জরায়ূমুখ ক্যান্সার, জরায়ূ ক্যান্সার ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার। অন্য ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার করা না গেলেও জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশে অনেক মেয়ে মারা যায়। সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে এ রোগে মৃত্যুর হার চতুর্থ। এটির প্রধান কারণ হচ্ছে বাল্যবিবাহ। অল্প বয়সে বিবাহিত নারীদের এ ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোভিডের আগে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ ছিল শতকরা ৩১ ভাগ। কোভিডের পরে সেটা দাঁড়িয়েছে শতকরা ৪১ ভাগ।

তিনি বলেন, এই রোগের লক্ষণ প্রথমে ধরা যায় না। যখন বুঝতে পারা যায় তখন এই গোপন রোগের কথা কাউকে লজ্জায় বলা যায় না। যারা শেষ ভাগে স্বামীদের এ রোগের কথা বলেছেন, তাদের শতকরা ৮০ ভাগ নারীই তালাকপ্রাপ্ত হয়ে গেছে।

রাজশাহী স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা.আনোয়ারুল কবীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষাথী এবং অনলাইন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ বিন্দুরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ যে, রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার জনকে এ টিকা দেয়া হবে।

এর আগে মহানগর পর্যায়ে নগরীর অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এসময় সাথে ছিলেন, স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।