দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর দুর্গাপুরে শফিকুল ইসলাম আজম (৪৫) নামের এক যুবদল নেতাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার দুর্গাপুর বাজার থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা আজম উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত.দূর্লভ কারিগরের ছেলে। সে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় গত রোববার বিকেলে উপজেলার গগনবাড়িয়া মৃত.জয়েন উদ্দিনের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মো.শাহিন বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দয়ের করেন। যার মামলা নম্বর-১৫। তাং: ৩০-০৯-২০২৪ ইং
আজমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সাইদুর রহমান মন্টু (৬৫) ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামান (৫০) আলমগীর হোসেন (৩০) সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাফিল (৫০) শাহিন (২৮) জামু (৪৫) তরিকতউল্ল্যা (৪৫) ,লইয়ম (৫০) আজাদ (৪০) ,আসাদুল (২৮) জীবন (২৫) আফজাল (৩২), মাহাতাব (৫০), হানিফ (৩৫) নাসিমুলসহ (৩৫) আরও অজ্ঞাতনামা ।
জানাগেছে , গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার গগনবাড়িয়া এলাকায় লীজকৃত একটি খাস পুকুরে গিয়ে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও মামলার বাদিকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দাবিকৃত টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা বাদি ভয়ে দিতে বাধ্য হন । পরবর্তীতে আবারও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাঁকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ১২ সেপ্টেম্বর যুবদল নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে পুকুর জাল দিয়ে জোরপূর্বক মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা দায়েরের পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতা আজমকে রাতে আটক করেন।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, থানায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যৌথবাহিনীর সদস্যরা যুবদল নেতা আজমকে আটক করে দুর্গাপুর থানায় সোপর্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।